parbattanews

হেলিকপ্টারে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী

hacapter-0120131029123532

স্টাফ রিপোর্টার:
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বান্দরবান-মিয়ানমারের থানছি সীমান্ত জুড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে রেকি করে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। সেনা-বিজিবি থানছির বড় মদক এলাকা কর্ডন করে অভিযান চালাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তারা বড় মদক বিজিবি ক্যাম্পে অবস্থান করে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা ফিরেছেন বলে সূত্র জানিয়েছেন।

বান্দরবান জেলা প্রশাসনের এনডিসি শামীম হোসেইন জানান, দুপুর ১টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজিবি মহাপরিচালক থানচি পৌঁছান। এর আগে সকালে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে বান্দরবান আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজিবি মহাপরিচালক।

সূত্র জানিয়েছেন, গোলাগুলির ঘটনার পর বান্দরবানের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিজিবি সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। যৌথ অভিযানে নামানো হয়েছে আলীকদম সেনা বাহিনীর ২ প্লাটুন ও বলিপাড়া ৩৩ ব্যাটালিয়নের বিজিবির ১ প্লাটুনকে। সে সব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের স্বার্থে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার টহলও চলছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের গভীর জঙ্গলাকীর্ণ ও উঁচু উঁচু পাহাড়ে সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে গতকাল বুধবার থেকে চলা অভিযানে এখনও কাউকে আটক করা যায়নি। প্রথম দিনের অভিযান শেষে নিরাপদে ফিরে আসে অংশগ্রহণকারীরা।

এদিন থানছির বড় মদকের দোলিয়ন পাড়া ক্যাম্পে গত বুধবার বিজিবি’র টহল দলের ওপর গুলি ছোড়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা। বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। গুলিতে আহত বিজিবির নায়েক জাকির এবং সিপাহী আব্দুল গনি চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বান্দরবানের থানচির তিন্দু ও আন্দারমানিক এলাকায় মঙ্গলবার দুই দফায় ১৩টি ঘোড়া আটক করে বিজিবি। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকালে বড় মদকের দোলিয়ান পাড়া বিজিবি ক্যাম্পে মিয়ানমারের আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) ও আরাকান আর্মি (এ, এ), আরাকান ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপিএ) সদস্য বা বাংলাদেশের বিছিন্নতাবাদী পাহাড়ী সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা সম্মিলতভাবে হামলা চালায় বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। এতে জাকির হোসেন ও আহম্মদ গনি আহত হন। বিজিবির সদস্যরাও পাল্টাগুলি ও মর্টারশেল ছোঁড়েন। পরে সেনা-বিজিবির তীব্র প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে।

Exit mobile version