parbattanews

হোয়াইক্যংয়ে বসতভিটা জবর দখলের অভিযোগ, ভাংচুর ও হামলায় যুবক আহত

টেকনাফে চিহ্নিত দূর্বৃত্তরা বসত ভিটের একটি অংশ জবর দখল করে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি তাদের সন্ত্রাসী স্টাইলে ভাংচুর ও হামলায় একজন আহত হয়েছেন।

৯ অক্টোবর দুপুর ও বিকেলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকায় দুই দফা ভাংচুর ও হামলা করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ব্যক্তি ওই এলাকার মো. সিকান্দরের ছেলে আব্দুল খালেক (৩৭)

জানা যায়, রমজান আলী প্রকাশ শিয়াল দীর্ঘ দিন আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশের অভিযান শিথিল হওয়ায় এলাকায় বীরদর্পে বিচরণ করছে। এরই প্রেক্ষিতে পাশ্ববর্তী যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন আসিফের বসতভিটে কু নজর পড়ে তার। হঠাৎ করে তার নেতৃত্বে একদল চিহ্নিত দূর্বৃত্ত দ্বারা ওই যুবলীগ নেতার জমি দখল করে। এতে বাধা দিলে পাশ্ববর্তী অপর বসতভিটের ঘেরাবেড়া ভাংচুর ও বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ কর্তন করে।

যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন আসিফ জানান, দুপুর ১২টায় রমজান আলীর অবৈধ ব্যবসায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। তার নেতৃত্বে আব্দু শুক্কুর, মান্নান, ছালেহ, আব্দু রহিম, ফারুক, আবু ছিদ্দিক, আক্তার, মামুন, হারুন সহ প্রায় ২০ জন চিহ্নিত ব্যক্তি লাঠিসোটা ও দা কিরিচ নিয়ে প্রথমে প্রধান সড়ক সংলগ্ন জমি দখল করে নেন। এ সময় প্রতিবাদ ও বাধা দেয়ায় বসতের জন্য তৈরি করা ভিটের ঘেরাবেড়া ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে কর্তন করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পালিয়ে যায় তারা। পরে ৪টার দিকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করার কারণে ফের হামলা করা হয়। এতে আব্দুল খালেক আহত হন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম জানান, ওই জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের সালিশ আমার কাছে রয়েছে, তা এখনো শেষ হয়নি। বিষয়টি আবেদনকারী আমাকে জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয় এবং পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।

রমজান আলীর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিষয়টি সত্য নয়। হেলাল উদ্দিনের কাছে আমাদের জায়গা রয়েছে। এ ছাড়া সালিশে যেমন হয়, তা মানতে আগ্রহী। তবে ওই জায়গাতে দখল নয়, নারীর পর্দার জন্য কয়েকটি টিন দেয়া হয়। এতে তারা ঝগড়ার জন্য ঔদ্ধ্যত হলে তৃতীয় পক্ষের সাথে মারামারিতে লেগে যায়। আমরা নয়, তৃতীয় পক্ষ এসব ভাংচুর ও হামলা করে। ক্ষতিগ্রস্ত হেলাল উদ্দিন জানান এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এ দিকে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুর আলমকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version