parbattanews

হোয়ানকের হেতালিয়া চিংড়ি ঘেরে গুলাগুলিতে মহি উদ্দিন হত্যায় ৫২ জনের নামে মামলা

মহেশখালী প্রতিনিধি: ১৫ নভেম্বর গুলাগুলির ঘটনায় মহেশখালী হোয়ানকের হেতালিয়া চিংড়ি ঘেরে নিহত মহি উদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে ৫২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ  বাবুল চন্দ্র বণিক। এই মামলায় আলোচিত আসামিরা হল। হোয়ানকের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ফেরদৌস ও মোস্তফা কামাল এবং ফেরদৌসের পুত্র ফিরুজ ওয়াহেদ শামীম।

এজাহার সূত্রে জানা যায়,নিহত মাঝের পাড়া গ্রামের মনজুর আহমদের পুত্র মো. মহি উদ্দিন হেতালিয়া মৌজাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ড এর স্লুইস গেইটের শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ছিল। গত ১৫ নভেম্বর সকাল ৭ টায় কৃষিবীদ সল্ট লিঃ কর্তৃক ইজারা নেওয়া ৩নং স্লুইস গেইট সংলগ্ন উমখালী চিংড়ি প্রজেক্টের আহরিত বাগদা চিংড়ি পরিমাপ করার সময়ে ডাকাতি ও দখল করার উদ্দেশ্যে থ্রি নট থ্রি রাইফেল, শাটারগান দেশিয় তৈরি লম্বা বন্দুক, কিরিচ, হাতুড়ি, লোহার রড ইত্যাদি অবৈধ অস্ত্র সজ্জিত হয়ে হোয়ানক মোহরাকাটা এলাকার মৃত মো. জালাল এর পুত্র মো. ফিরোজ, কেরুনতলী এলাকার মোঃ কবির এর পুত্র আহছান উল্লাহ, কবির মাঝির পুত্র জাগির হোসেন, নয়াপাড়া এলাকার মৃত মো. বকসুর পুত্র আজিল হক প্রঃ আলম গং গুলি ছুড়তে ছুড়তে পূর্ব ও উত্তরদিক থেকে হামলা করে চরম অরাজকতা সৃষ্টি করে স্লুইস গেইট ও সংলগ্ন উমখালী ঘোনা জবর দখল ও লুঠপাট করার সময় মহিউদ্দিনকে হত্যা করে এজাহারে বাদিনী দাবী করেন। মোতাহেরা আরো দাবী করে তার স্বামী সম্পূর্ন নির্দোষ। সন্ত্রাসী ফিরুজ তার স্বামীর পায়ে প্রথম গুলি করে অন্য শ্রমিক গুলির শব্দে চিংড়ী প্রজেক্ট থেকে চলে যেতে চেষ্টা করে সাথে নিহত মহিউদ্দিনও তার পরেও এ সময় আহাছান, জাগির, আলম নিহত মহি উদ্দিনের পিটে গুলি করে ঝাজরা করে দেয়।

আসামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, ধর্ষন, হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা, দ্রুত আইন, চাঁদাবাজী দস্যুতা বন মামলা সহ ২৫/৩০টির অধীক জি,আর ও ফৌজধারী মামলা পেন্ডিং আছে বলে উল্লেখ করা হয়। স্লুইস গেইট থেকে আহরিত চিংড়ি মাছ যার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা, ২টি জাল ও টর্চ লাইট মোবাইল সহ প্রায় এক লক্ষ টাকার অন্যান্য জিনিসপত্র লুঠ করে নিয়ে যায়। অপরদিকে একই সময় উমখালী ঘোনায় ধৃত ৫ লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি মাছ, ৫০ হাজার নগদ টাকা ঘেরের খামারে রক্ষিত মালামাল লুঠপাট করে বলে এজাহারে প্রকাশ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জানায়, কোন সন্ত্রাসীকে এলাকায় রাজত্ব কায়েম করতে দেয়া হবে না। অতি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে। অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।

Exit mobile version