parbattanews

হ্লামংপ্রু মারমার হেডম্যান নিয়োগে আপত্তি জানিয়ে বান্দরবান জেলাপ্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে মৌজাবাসী

?

রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি : রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন আলেক্ষ্যং ইউপিতে হ্লামংপ্রু মারমাকে ৩৩৯ নং মৌজার নতুন হেডম্যান নিয়োগের বিরুদ্ধে গণআপত্তি হিসেবে মৌজাবাসী বান্দরবান জেলাপ্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে ৩৩৯নং মৌজার হেডম্যান ক্যশৈঅং মারমার কনিষ্ঠ ছেলে হ্লামংপ্রু মারমা হেডম্যান পদে নিয়োগের কথা শুনে মৌজাবাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সার্কেল বোমাংচীফ ও জেলা প্রশাসকের কাছে এ স্মারকলিপিটি প্রদান করছে।

সূত্রে জানা গেছে, প্রাক্তন হেডম্যান ক্যশৈঅং মারমা বয়স্ক হওয়ায় তার পরিবর্তে কনিষ্ঠ ছেলে বান্দরবান উজানী পাড়া নিবাসী হ্লামংপ্রু মারমাকে ৩৩৯ নং মৌজা হেডম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছে,সে কথা শুনে মৌজাবাসীরা ক্ষুদ্ধ। আরো জানা গেছে, সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত হ্লামংপ্রু মারমা ছোট বেলায় থেকেই বান্দরবানে পড়া-লেখা করতেন। বেক্ষ্যং মৌজাবাসীদের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি ছোট বেলায় থেকেই বান্দরবান সদরের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে থাকেন। তিনি ৩৩৯নং বেক্ষ্যং মৌজার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এছাড়াও তিনি হেডম্যান হিসেবে অনবিজ্ঞ। বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়িতে গিয়ে মৌজার সামগ্রীক কার্যক্রম সুচারুরূপে সম্পন্ন করা তার মতো একজন চাকুরিজীবীর পক্ষে সম্ভব হবে না। মৌজাবাসী যে কোনো সুবিধা-অসুবিধায়, যখন-তখন তাকে কাছে পাবে না।

স্থানীয় চেয়ারম্যান, কারবারী ও মৌজাবাসীরা বলেন, প্রাক্তন হেডম্যান ক্যশৈঅং মারমা তিনি একজন শুষোক হেডম্যান হিসেবে এলাকায় পিরিচিত। তিনি হেডম্যান পদে নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকে মৌজাবাসীকে হয়রানি করে আসছেন। ৩৩৯ নং বেক্ষ্যং মৌজাবাসীরা জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হেডম্যান ক্যশৈঅং মারমা কাছে গেলে কাজ করতে মোটা অংকে টাকা দাবি করতেন। তার দাবি মেটানো এখানকার দারিদ্র মৌজাবাসীদের পক্ষে সম্ভব হত না। সামান্য কাজের মৌজাবাসীরা মোটা অংকে টাকা দেওয়া সম্ভব না হলে কাজটি বন্ধ থাকতো। এসব কারণেই প্রাক্তন হেডম্যান এর কনিষ্ঠ ছেলেকে নিয়োগ না করার জন্য মৌজাবাসীরা তার বিরুদ্ধে গণআপত্তি হিসেবে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে বলে জানান মৌজাবাসীরা।

স্থানীয়রা দাবি করে বলেন, আগের হেডম্যান (মৃত) সাগ্যউ মারমা এর ছেলে লোয়াইনু মারমাকে নিয়োগ করা হলে মৌজাবাসী খুশি হবেন। কেননা তিনি একজন সৎ,কর্মদ্যোগী ও ন্যায়পরায়ন ব্যক্তি হিসেবে সমাজে পরিচিতি। তিনি মৌজাবাসীদের সাথে কাজ করতে পারবেন। তার পিতা সাগ্যউ মারমা হেডম্যান থাকাকালীন লোয়াইনু মারমা তার বাবাকে প্রত্যক্ষ ও সক্রিয়ভাবে প্রায় ৯/১০ বছর সহযোগিতা করেছিলেন। আগের হেডম্যানের ছেলে হিসেবে তিনি একজন অভিজ্ঞ লোক। তিনি অত্রমৌজার গ্রোক্ষ্যং পাড়ায় এলাকার স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। মৌজাবাসীরা তাকে সুখে-দুঃখে পাবে। তিনি এলাকার শান্তি সমুন্নত রেখে হেডম্যান হিসেবে দায়িত্ব সুচারুরভাবে পালন করতে পারবে বলে মনে করেন মৌজাবাসীরা।

Exit mobile version