১০০ মেধাবী শিক্ষার্থী পেল মেরিন সিটি শিক্ষাবৃত্তি

fec-image

কক্সবাজার মেরিন সিটি কল্যাণ তহবিলের উদ্যোগে ১০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ ও সনদ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার লিংকরোড মেরিন সিটি বিচ পাবলিক স্কুল কক্সবাজার প্রাঙ্গণে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাছির উদ্দিন ।

তিনি বলেন, মেরিন সিটি মেধাবীদের জন্য আজকের দিনটি অনেক আনন্দের। মেরিন সিটির এ বৃত্তি প্রদান লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে। তাদের মাঝে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করতে চাই মেরিন সিটি পরিবার। যাতে গরীব পরিবারের মেধাবীরা মানুষের মত মানুষ হতে পারে। কখনও পিতা-মাতার মনোকষ্টের কারণ না হয়।

মেরিন সিটি কল্যাণ তহবিলের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বিশেষ অতিথি বক্তব্যে এএমজি ফেরদৌস বলেন, তোমরা আজকে যারা সাফল্য পেয়েছ তা যথেষ্ট নয়। সামনে তোমাদের জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে। তার প্রস্তুতি তোমাদের এখন থেকেই নিতে হবে। শুধু পুস্তকের লেখাপড়ায় কাঙ্খিত সাফল্য পাওয়া যাবেনা। দেশ, দেশের স্বাধীনতা, মূ্ল্যবোধ, সারা বিশ্ব সম্পর্কে তোমাদের ধারণা রাখতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গলের ব্রত তোমাদের মননে থাকতে হবে। দেশ যদি এগিয়ে যায় তাহলে আমরাও এগিয়ে যাব।

আলহাজ্ব ফাতেমা ফেরদৌস উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে প্রধান শিক্ষক এম আলী আকবার সভাপিত্বে অনুষ্টিত “মেরিন সিটি কল্যাণ তহবিল বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ ” পিএসসি ও জেএসসি ছাত্র-ছাত্রীদের মেরিন স্টারদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বৃত্তি প্রাপ্ত জনকে এই পুরস্কারের অর্থ ও সনদ দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রাপ্তদের মাঝে সর্বমোট তিন লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত মধ্যে পিইসি থেকে ৫০ জন, জেএসসি থেকে ৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

আরো বক্তব্য রাখেন, ঈদগাও কলেজের শিক্ষক নাজমুল ইসলাম হোসাইনী, শহীদ তিতুমীর ইনটিস্টিউট পরিচালক শফিকুল ইসলাম, বিবেকানন্দ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবন কান্তি দে, অ্যাডভোকেট নুরুল হক, মেরিন সিটি হাসপাতালের এজিএম ছলিম উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ও মঙ্গলবার (১৯-২০ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার লিংক রোড সংলগ্ন আমিনা তাজ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পরিচালিত বীচ পাবলিক স্কুল ও আলহাজ্ব ফাতেমা ফেরদৌস উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ৯ম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতে ৫ম শ্রেণি (পিইসি) থেকে ৫০ জন, ৮ম শ্রেণি (জেএসসি) থেকে ৫০ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন