parbattanews

১১ বছরেও বিয়ে হচ্ছে রোহিঙ্গা কিশোরীদের

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা কিশোরীদের মধ্যে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী দি আটলান্টিক এ সংক্রান্ত এক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

গত নভেম্বর মাসে ফটো সংস্থা ‘গেটি ইমেজ’-এর আলোকচিত্রী অ্যালিসন জয়েস কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। অনেক পরিবারে কিশোরীদের বিয়ের জন্য প্রস্তুত করতে দেখেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে পরিবারের জন্য আরো খাবার নিশ্চিত করা যাবে বলে তাদের আশা রোহিঙ্গাদের।
১১ বছরেও বিয়ে হচ্ছে রোহিঙ্গা কিশোরীদের

আলোকচিত্রী জয়েস বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিকভাবে বাল্যবিবাহ অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। গত আগস্টের শেষ থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। শরণার্থী শিবিরে বাল্যবিবাহের জন্য খাদ্যসহায়তা একটা অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, রোহিঙ্গা শিশুরা, বিশেষ করে যাদের কেউ নেই, তারা পাচার বা বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (আইওএম) অনুসন্ধানে রোহিঙ্গা কিশোরী হিসেবে তালিকাভুক্ত অনেকেই, এমনকি ১১ বছর বয়সেও, বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে পরিবারের সদস্যসংখ্যা কমানো এবং নিজেদের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার বিষয়টি উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।’

বাল্যবিবাহের শিকার কিশোরীদের মধ্যে রয়েছে নূর বেগম। সে তার বয়স না জানলেও ১৪ থেকে ১৬-এর মধ্যে হতে পারে বলে জানায়। গত ৩০ নভেম্বর তার বিয়ে হয়েছে রায়িদ আলমের (২০) সঙ্গে। নূর জানায়, তার বাবা-মা বিয়ের আয়োজন করেছে।

এ ছাড়া ২২ নভেম্বর বিয়ে হয় তাসমিনা বেগম (১৬) ও মোহাম্মদ ইলিয়াসের (১৮)। ইলিয়াস বলেন, ‘আমার বাবা-মা বৃদ্ধ। তাদের দেখাশোনার কেউ নেই। এ জন্য আমি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তাসমিনা বলে, ‘আমার বাবা-মা আমাকে বিয়ে দিয়েছে। আমি না বলতে পারিনি।’

সাবাকুর নাহারের (১৫) সঙ্গে বিয়ে হয় রাহুল আমিনের (২০) সঙ্গে। এ ছাড়া আমিনা বেগমের (১৫) সঙ্গে মুনীর, ফারমিনা বেগমের (১৬) সঙ্গে হাশিমুল্লাহ (১৮) বিয়ে হয়। এছাড়াও প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে অনেক কিশোরীর বিয়ে হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

 

সূত্র: GlobalVision24

Exit mobile version