parbattanews

১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেল পানছড়ির সরোয়ার আলম

গন্তব্যে পৌঁছাতে কোন কিছুই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সরোয়ার আলমের। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়ে পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার। ছিলোনা কোন প্রকার দালালি, আর্থিক লেনদেন আর সুপারিশ। ছেলের সফলতায় অশ্রুশিক্ত নয়নে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর”সহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় সরোয়ার আলমের পরিবার।

সরোয়ার আলমের বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার কানালাল গ্রামে। সে কৃষক মো. খোরশেদ আলম ও গৃহিনী শামসুন নাহারের বড় সন্তান।

নিজ বাড়িতে গিয়ে কথা হলে সরোয়ার আলম জানান, যখন আবেদন করেছিলাম তখন অনেকেই বলেছিল তদবির লাগে, টাকা লাগে। কিন্তু বাস্তবে গিয়ে দেখি যাদের যোগ্যতা আছে কেবল তারাই চাকরি পেয়েছে। যার মাঝে আমিও একজন। ব্যাপারটি আমার কাছে একেবারেই স্বপ্নের মতো। মূলত পুলিশ সুপার মুক্তা ধর স্যারের স্বচ্ছতা আর দক্ষতার কারণে যোগ্যরাই চাকরি পেয়েছে।

সরোয়ার আলম পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও পানছড়ি সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেছে। ব্যবস্থাপনা বিভাগ নিয়ে অনার্সে তাঁর ভর্তি প্রক্রিয়াধীন। চাকরির পাশাপাশি উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের আশা রয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে সুমধুর কন্ঠে ইসলামী সংগীত পরিবেশনেও যথেষ্ট পারদর্শী আছে তার। বাড়ির পাশে পতিত জায়গায় সরোয়ার নিজ হাতে সাজিয়েছে টমেটো, বেগুন আর বাঁশের তৈরী মাচায় লাউয়ের বাগান। তাঁর ছোট ভাই দশম ও ছোট বোন প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

সরোয়ার আলমের বাবা ও মা জানান, এ মুহূর্তে ছেলের একটা চাকরি জরুরি দরকার ছিল। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের হাত ধরে মাত্র ১২০ বিশ টাকায় সোনার হরিণটি আমাদের বাড়িতে এসেছে। সরোয়ারের দাদা আবদুল কাদির নাতির চাকরির খবরে খুব খুশী। তিনি পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

Exit mobile version