parbattanews

১৮-২৮ জুন পাহাড়ে লাগাতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে সমঅধিকারের একাংশ

ডেস্ক রিপোর্ট:

নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি সরকার সম্মান প্রদর্শন না করাতে আগামী ১৮-২৮ জুন পর্যন্ত ১০ দিন তিন পার্বত্য জেলায় লাগাতার প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ সমাবেশ, শান্তি মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে সমঅধিকার আন্দোলন কর্মসূচী পালন করবে। ভূমি মন্ত্রী যেদিন সংসদে অভিমত পেশ করবেন তা যদি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থি হয় তবে তার পর দিন থেকে তিন পার্বত্য জেলায় লাগাতার হরতাল অবরোধ শুরু হবে। সমঅধিকার আন্দোলন একাংশের মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে।

গত রোববার ১৬ জুন ঢাকায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে সন্তু লারমার ১৩ দফা দাবী মোতাবেক যে আইন পাশের জন্য প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তাকে বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্যবাসী বাঙালি জনগোষ্ঠির স্বার্থ বিরোধী আখ্যায়িত করে উক্ত প্রস্তাব পাস থেকে বিরত থাকার জন্য স্পীকারের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়েছে । আজ ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিবৃতিতে উক্ত দাবী জানিয়ে সরকারে কাছে পাহাড়ের ভূমি বিরোধ মিমাংসার জন্য পার্বত্যবাসী বাঙালিদের প্রতিনিধি নিয়ে অবিলম্বে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়। ভূমি মন্ত্রীকে দেশের অখন্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে ৫০৯৩ বর্গমাইল এর তিন পার্বত্য জেলার ভূমির অধিকার নিশ্চিত করারও জোর দাবী জানানো হয়।

সমঅধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউল আলম হুমায়ন, মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান, শীর্ষনেতা এম, জাহাঙ্গীর কামাল, খলিলুর রহমান মাষ্টার, হাফিজ মাষ্টার, এম.আনোয়ারুল্লাহ ও মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে পাহাড়ে ঐক্য, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পাহাড়ের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জোর দাবী জানান। এব্যাপারে বর্তমান সরকারকে আরো নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রদর্শনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে নেতৃবৃন্দ বলেন- পার্বত্যবাসী বাঙালিদের প্রতি কোন অবিচার করা হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারকে এই জন্য কঠোর মূল্য দিতে হবে।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের স্পীকার বরাবরে স্মারকলিপি পাঠিয়ে পার্বত্য ভূমি বিরোধ সংশোধনী আইন স্থগিত এবং জাতীয় সংসদে অনুমোদন না করে আন্দোলনরত বাঙালি সংগঠনগুলোর নেতাদের সাথে শান্তি আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের জোর দাবী জানানো হয়েছিল। কিন্তু সরকার প্রতিশ্র“তি ভঙ্গকরে এবং এইচ টি ইমাম ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবুল হোসেন এর সাথে বৈঠকে সমঅধিকার আন্দোলনকে যে কথা দেওয়া হয়েছিল সেটি থেকে সরে গিয়ে সংসদে ভূমি কমিশন আইন ২০১৩ উত্থাপন করাতে পাহাড়ের বাঙালি নেতৃবৃন্দ তীব্র ঘৃনা ও ধিক্কার জানিয়েছেন।

Exit mobile version