parbattanews

১৯৯৭ সালে কথিত শান্তি চুক্তির নামে পাহাড়ে অশান্তির আগুন লাগিয়েছে: ওয়াদুদ ভূইয়া

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া অভিযোগ করে বলেছেন, সম্প্রীতির পাহাড়ে অশান্তির আগুন লাগিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৭ সালে কথিত শান্তি চুক্তির নামে পাহাড়ে অশান্তির আগুন লাগিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি বাঙালির মধ্যকার অবিশ্বাস দূর করে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপি যে সময় কাজ করছিল সে সময় ১৯৯৭ সালে কথিত শান্তি চুক্তির নামে পাহাড়ে অশান্তির আগুন লাগিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এ কালো চুক্তির পর থেকে পাহাড়ি জনপদের সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রদায়কে প্রকাশ্যে দু’ভাগে বিভক্ত করে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভক্ত হয়ে যাওয়া পাহাড়িদের মধ্যে লাগিয়ে দিয়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। দীর্ঘ ১০ বছর পাহাড়ি এ জনপদের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি সৃষ্টিতে ব্যর্থ এ আওয়ামী সরকার বিবেধ ও ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই পাহাড়ের সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি সেই সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্তি পেতে বিএনপির পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

মঙ্গলবার(২৫ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্ত এলাকা তবলছড়িতে ধানের শীষের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভূইয়া ফরহাদের পক্ষে নির্বাচনী পথসভায় ওয়াদুদ ভূইয়া এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি পাহাড়ে শান্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠায় বিএনপি প্রাথী শহিদুল ইসলাম ভূইয়া ফরহাদকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।

ওয়াদুদ ভূইয়া আরও বলেন, আমার ২০০১ থেকে ২০০৬ আমলে আমি উন্নয়নের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে আমূল পরিবর্তন করেছি। শহর থেকে গ্রাম-পাড়া পর্যায়ে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ড, মসজিদ-মন্দির-কেয়াং এবং স্কুল-কলেজ- মাদ্রাসা ও ক্লাব নির্মাণ করে দিয়েছি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বিগত ১০ বছর এলাকার কোনো সুসম উন্নয়ন করেনি। বরং নিজেদের আখের গুছিয়েছে।

এছাড়াও মঙ্গলবার সকাল থেকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং, বর্ণাল, রামসিরা, ডাক বাংলা, গুমতি, বেলছড়ি ও খেদাছড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়ার আবু ইউসুফ চৌধুরী, মণীন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা, বাহাদুর খান, যুগ্ম সম্পাদক অনিমেষ চাকমা রিংকু, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান, মাটিরাঙ্গার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নাছির আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউল আলম বাদি, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুবুল আলম সবুজ ও জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বপ্পি মজুমদারসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Exit mobile version