parbattanews

১৯৯৯ সালের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়

bcb
খেলা ডেস্ক:
হোক না এটা প্রস্তুতি ম্যাচ। না পাক আন্তর্জাতিক ম্যাচের মর্যাদা। কিন্তু যে অজেয় পাকিস্তান সব সময়ই বাংলাদেশের সামনে একটি বিশাল বাধা, সেই দেশটিকে হারানোর গৌরব তো কম পাওয়ার নয়!

১৯৯৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে সর্ব প্রথম পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই থেকে প্রায় ১৬ বছর পার হতে চললো, এখনও এই দেশটি বাংলাদেশের সামনে অজেয় একটি দল। এর মাঝে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুরু করে বিশ্বসেরা সবগুলো দলকেই হারিয়েছে বাংলাদেশ।অথচ, বেশ কয়েকবার জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও পাকিস্তানকে একবারও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।

কিন্তু, এই দলটি যে সত্যিই অজেয় নয়, সেটা প্রমান করে দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশ। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে রূদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে আজহার আলির দলকে ১ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা এনে দিল নাসির হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিসিবি একাদশ।

বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ দলে যে অসাধারণ একটি ইতিবাচক পরিবর্তণ এসেছে তার প্রতিফলন দেখা গেলো ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচে। আইপিএল খেলতে যাওয়ার আগে সাকিব আল হাসান পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ফেভারিট বলার পর অনেক সমালোচকই আড়ালে-আবডালে হেসেছিলেন। আবার প্রস্তুতি শুরু করার দিনই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেছিলেন, আমরা পাকস্তিানকে হারাবো। সমালোচকরা সহজভাবে এসব কথা হজম করতে পারেননি। কিন্তু; বিসিবি একাদশ দেখিয়ে দিল, কিভাবে পাকিস্তান দলটিকে হারানো যায়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে থাকা ৫জন ক্রিকেটার ছিলেন এই প্রস্তুতি ম্যাচটিতে। তারা জেনে গেলো, পাকিস্তানকে হারানোর মূল মন্ত্র। মিরপুরে ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে যে সেই মন্ত্র তারা প্রয়োগ করবেন, সেটা অনায়াসেই বলা যায়। বিশেষ করে সাব্বির রহমান পাকিস্তানি বোলারদের মনে যে ভীতির সঞ্চার করে দিতে পেরেছেন, তাতে সিরিজ শুরুর আগে মানসিকভাবে অনেক এগিয়ে থাকল বাংলাদেশ দল।

চরম নাটকীয়তায় পূর্ণ একটি ম্যাচ। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলেছে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়াম। শেষ পর্যন্ত রূদ্ধশ্বাস এই ম্যাচটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ উইকেটে তুলে নিল নাসির হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিসিবি একাদশ।

পাকিস্তানের করা ২৬৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যার্থতার পর মিডল অর্ডারে সাব্বির রহমানের অসাধারণ সেঞ্চুরির পর যখন নিশ্চিত জয়ের পথে বিসিবি একাদশ, তখন হঠাৎই পাকিস্তানি পেসারদের সাঁড়াসি আক্রমণ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে কক্ষপথচ্যুত হয়ে পড়ে বিসিবি একাদশ।

কিন্তু নবম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ শহিদকে সঙ্গে নিয়ে সোহাগ গাজী ৩১ রানের জুটি গড়লে জয়ের দ্বার আবারও উম্মোচন হয়ে যায়। কিন্তু ৪৭তম ওভারের ৫ম বলে জুনায়েদ খানের বলে সোহাগ গাজী বোল্ড হয়ে গেলে আবারও তৈরী হয় অনিশ্চয়তার দোলাচল।

শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি পেসারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ৭ বল হাতে রেখেই মোহাম্মদ শহিদ আর তাইজুল ইসলাম বিসিবি একাদশকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে জুনায়েদ খানকে বাউন্ডারি মেরেই বিসিবি একাদশের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ শহিদ।

Exit mobile version