parbattanews

২০২১ সালে খাগড়াছড়ি ছিল নানাভাবে আলোচিত

খাগড়াছড়ি নানা কারণে আলোচিত ছিল ২০২১ সাল। আলোচনার শীর্ষে ছিল আঞ্চলিক সংগঠনের সংঘাত, নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার, মাদক দ্রব্য ধংস ও মানবিক সহায়তা। পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জনের প্রাণ হারানো, পারিবারিকসহ নানা কারণে হত্যাকাণ্ড, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলে একাট্টা হয়ে মাঠে নামা ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ছিন্নমূল, দুস্থ ও অসহায় গৃহহীন পরিবারে ঘরের চাবি হস্তান্তর ছিল উল্লেখযোগ্য। বিগত বছরে জাতীয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে হানা-হানির ঘটনা না ঘটলেও বিএনপির কর্মসূচিগুলো ছিল পুলিশ নিয়ন্ত্রিত।

২০২১ সালের ২৫ জুন দিবাগত রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অমর জীবন চাকমা নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অমর জীবন চাকমা ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সাবেক সদস্য ছিলেন। ১৮ জুলাই সকাল ৯টার দিকে পানছড়ি উপজেলার মরাটিলা নামক স্থানে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সাবেক সদস্য খল কুমার ত্রিপুরা নিহত হয়।

২ মার্চ ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে খাগড়াছড়ির দীঘিনানায় দুটি বিদেশি পিস্তল, ৪০ রাউন্ড গুলি ও পৌনে ৬ লাখ টাকাসহ চার ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।

৮ আগস্ট ভোররাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সেনা অভিযানে ইউপিডিএফ প্রসীতগ্রুপের চিফ টোল কালেক্টর লালন চাকমা (৩৮)কে একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, চাঁদা আদায়ের রশিদ, নগদ টাকা ও মোবাইল সেটসহ আটক করা হয়।

১৬ অক্টোবর ভোরে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযান, দেড়শ কোটি টাকা মূল্যের ৩শ বিঘা গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করে। মহালছড়ি সেনা জোনের উপ অধিনায়ক মেজর দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে মহালছড়ি উপজেলার দেবতাপুকুর এলাকায় টহল চলাকালীন সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ বিশাল গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায়।

নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য সূত্রে জানা যায়, গহীন অরণ্য ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জনবসতি না থাকার সুযোগে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় এবং তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করে থাকে। কিন্তু সেনাবাহিনী কর্তৃক নজরদারী ও শক্ত গোয়েন্দা কার্যক্রমের ফলে গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় মহালছড়ি জোন।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র আরো জানায়, এ বিশাল গাঁজা চাষের সাথে ৭ জন জড়িত ছিল। এরা হচ্ছে, জমির মালিক কদু ত্রিপুরা (৪০), গাঁজা চাষি মুক্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০), সুদত্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০), (৩) মঞ্জয় ত্রিপুরা (৩৫), মায়া কুমার ত্রিপুরা (২২), হেরন ত্রিপুরা (৪৫) ও শান্তি ত্রিপুরা (২৫)। এদের মধ্যে মায়া কুমার ত্রিপুরা (২২)কে নিরাপত্তা বাহিনী আটক করতে সক্ষম হয়।

২৯ জুন ভোর রাতে খাগড়াছড়ির গুইমারায় সেনা অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের চার সন্ত্রাসী আটক হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি, গুলি, অবৈধ পোস্টার, চাঁদা আদায় রশিদ বই ও উত্তোলিত চাঁদার টাকা উদ্ধার হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, একই এলাকার টোক্কা চাকমার ছেলে ও বাইল্যাছড়ি এলাকার প্রধান চাঁদা কালেক্টর বনসিং চাকমা (৫০), সহকারী টোল কালেক্টর ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার বৌদ্ধমন্দির পাড়ার সুইপা মারমার ছেলে উকাচিং মারমা (২৮), রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার কচুখালী এলাকার রাজু মারমার ছেলে সশস্ত্র ক্যাডার জুকের মারমা (১৯) এবং সহকারী টোল কালেক্টর ও বাইল্যাছড়ির লাওসিং মারমার ছেলে থোইচিং মারমা (২০)।

গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী ৯০৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তিন বারের মেয়র মো. রফিকুল আলম (মোবাইল প্রতীক) পান ৮৭৪৯ ভোট, বিএনপির প্রার্থী মো. ইব্রাহিম খলিল ৪৩০৮ ভোট ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ ১৮৪ ভোট পেয়ে জামানত হারান। অপরদিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর, হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মো. রফিকুল আলমসহ তাঁর অন্তত ৯০ সমর্থকের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

১১ জুন রাতে সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে নিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন জাতের ৮ লাখ ৬১ হাজার পিস ভারতীয় ঔষধ উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা সেনা জোন।

২৭ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে গুইমারা রিজিয়নের মাটিরাঙ্গা জোনের আওতাধীন গুইমারা উপজেলার রিংকুম পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ী উদ্ধার করে।

২০২১ সালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলায় সহশ্রাধিক ছিন্নমূল, দুস্থ অসহায় গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. শামসুল হক ৫ হাজার ৭শ’ ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এম জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ৭শ ৫৮ ভোট ও বিএনপির প্রার্থী মো. শাহ জালাল কাজল পেয়েছেন ৩ হাজার ৭শ ১০ ভোট।

৯ আগস্ট ভোর রাতে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের কেন্দ্রীয় সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমাসহ পাঁচ হত্যাকান্ডের আসামি বিরাজ মনি চাকমাকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়।
২০ জুলাই রাতে খাগড়াছড়ি শহরের শান্তি নগরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে তামাকজাত কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি এল্টু চাকমা নিহত হন।

২৮ নভেম্বর খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নির্বাচন ব্যালট পেপার ছিনতাই, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।

৫ মে ভোর রাতে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে একটি পর্ণগ্রাফি মামলায় আটক মিলন বিকাশ ত্রিপুরা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কাউন্সিলের পৌনে ২ বছর পর ১৭ জুলাই কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপিকে সভাপতি ও নির্মলেন্দু চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে খাগড়াছড়ি জেলা আ’লীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

১৯ জানুয়ারি রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে রাকিবুল হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা।

২ জুলাই রাতে খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক বাসে তুলে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরিবহন শ্রমিক খাগড়াছড়ি সদরের আলী আহমদের ছেলে কামাল মিজি ও হবিগঞ্জের মাধবপুরের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে গদি মিস্ত্রি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক শিশু (১২)কে ধর্ষণের দায়ে মো. বাবলু ওরফে বাবলু কারিগর (২৭) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

২১ মার্চ খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু তাহের এই রায় দেন। তবে আসামি জামিনে এসে পলাতক রয়েছে।

৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু। ২ আগস্ট রাতে খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি মাটিরাঙ্গা জোনের সেনা সদস্যদের অভিযানে ১০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় ঔষধ ও প্রসাধনী উদ্ধার হয়। এ সময় পাচারকারী বীর মোহন ত্রিপুরাকে আটক করা হয়।

১৭ ডিসেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি পৌর শহরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭০ জনকে আসামি করেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদুল আলম চৌধুরী। এ ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করে।

২০২১ সালে জেলার বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্লু-বিহীন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে পুলিশ দক্ষতার সাথে রহস্য উদঘাটন করে ঘাতকদের গ্রেফতার করেছে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় গৃহবধূ সবিতা ত্রিপুরাকে ধর্ষণের পর হত্যা ও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ব্যবসায়ী আবুল বাশার হত্যাকাণ্ড।

২০২১ সালে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, পানছড়ি, মহালছড়ি, রামগড় ও মানিকছড়িতে পানিতে ডুবে ৭ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্য হয়েছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশত ব্যক্তি।

২০২১ সালে করোনা যুদ্ধে একাট্টা ছিল খাগড়াছড়িবাসী। রাজনৈতিক নেতৃত্ব, নিরাপত্তা বাহিনী, বেসামরিক প্রশাসন, চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ, করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন সাপোর্ট, জরুরি অ্যামবুলেন্স সেবা, ওষুধ এবং অপেক্ষাকৃত দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করে যাচ্ছে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা শুরু থেকে কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক বিতরণ ও কৃষকদের ধান কেটে দেওয়াসহ নানা জনহিতকর কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়িতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার নেতৃত্বে টানা তিন মাস ধরে বিএনপি ও অংগ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা করোনা আক্রান্ত জেলাবাসীকে সাধ্যমত অক্সিজেন সাপোর্ট, জরুরি অ্যামবুলেন্স সেবা, ওষুধ এবং অপেক্ষাকৃত দরিদ্র রোগীদের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে চালু করা হয়েছে করোনা হেল্প সেন্টার।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা খাগড়াছড়ির দুটি সেনা রিজিয়িন, দুটি বিজিবি সেক্টর ও পুলিশও কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ, মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড ওয়াশ পয়েন্ট স্থাপনসহ সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে করোনা রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ি সদর আধুনিক হাসপাতালে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ শয্যার করোনা ইউনিটের অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ, সেন্ট্রল অক্সিজেন স্থাপন, মাস্ক বিতরণ, হতদরিদ্রদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।

জেলা প্রশাসন কর্মহীন সাংস্কৃতিক কর্মী, শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ, মাস্ক বিতরণ, করোনা বিধি লংঘনকারীদের অর্থদণ্ডসহ নানা কর্মযজ্ঞ।

Exit mobile version