parbattanews

২১ বছরেও জাতীয়করণ হয়নি কাপ্তাইয়ের ভাইবোন ছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়

bie-von-school-copy

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকার ভাইবোন ছড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ২১বছর যাবত জাতীয় করণ না করার ফলে শিক্ষরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাপ্তাই উপজেলার ভাইবোন ছড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালটি স্থাপিত হওয়ার ফলে দূর্গম পাহাড়ী এলাকার বিভিন্ন শিক্ষার্থী ঐ বিদ্যালয়ে লেখাপড়ে করে। বিদ্যালয়টি ৫ জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত। তবে  একজন সহকারী শিক্ষক সম্প্রতি মারা যান বলেও জানা গেছে। বেসরকারী এনজিও সংস্থা গ্রীণ হীল ৫ জনের মধ্যে দু’জন শিক্ষক ঐ বিদ্যালয়ে রয়েছে।  চলতি ডিসেম্বর মাসে গ্রীন হীলের প্রকল্প শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে উক্ত বিদ্যালয়ে তাদের পক্ষ হতে শিক্ষক না পাওয়া গেলে বিদ্যালয়টি শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়বে। যার ফলে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উষাকান্তি তংচঙ্গ্যা বলেন, ২১ বছর যাবত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি এবং দূর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো দিচ্ছে এ বিদ্যালয়। কিন্তু অদ্যাবতি জাতীয় করণ না করার ফলে হতাশায় ভুগছি আমরা। তিনি বলেন, স্কুলটি জাতীয় করণ করার জন্য তৃতীয় পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বিদ্যালয় জাতীয় করণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান।

বিদ্যালয়ে সভাপতি ও ইউপি সদস্য সুজয় বিকাশ চাকমা বলেন, বিদ্যালটি পরিচালনা এবং জাতীয় করণ এর জন্য সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং বিদ্যালয় উন্নয়নের সকল কাজও করছি আন্তরিকভাবে।তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে বেতন ভাতাছাড়া  দীর্ঘ বছর যাবৎ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। পাশাপাশি অতিদ্রুত বিদ্যালয়টিকে জাতীয় করণেরও আহ্বান জানান তিনি। আর তা না হলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো হতে অতিদ্রুত ঝড়ে পড়বে নিশ্চিত।

কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় উক্ত বিদ্যালয়ে পাশের হার শতভাগ। তাই এ বিদ্যালয়কে জাতীয় করণ করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম বলেন, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে গত অক্টোবর মাসের  শেষ সপ্তাহে স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স, পানির বোতলসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ প্রদান কালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছিল। লেখাপড়ার মানও খুব ভাল। তাই তিনি এ বিদ্যালয়ের পড়লেখার মান বিবেচনা করে হলেও বিদ্যালটিকে জাতীয় করণ ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন।

Exit mobile version