parbattanews

 ২২ ঘন্টা পর যেভাবে ছাড়া পেলেন অপহৃত সবুর আলী

মানিকছড়ি উপজেলার মরাডলু গ্রামের সবুর আলী(৫৫)কে ইউপিডিএফ পরিচয়ে অপহরণের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী তৎপরতায় ২২ঘন্টার মধ্যে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

নিরীহ গ্রামবাসী সবুর আলী অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দুই সন্দেহভাজন বাঙ্গালীকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও সন্ত্রাসীদের আস্তানাখ্যাত বিভিন্ন এলাকায় টহল জোরদার করায় অপহরণকারীরা ১ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় অপহৃত সবুরকে ছেড়ে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মরাডলু এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ইউপিডিএফ মূল দলের সোর্স ও কালেক্টর হিসেবে কিছু উপজাতি যুবকের সাথে এলাকার আবুল কালাম ও মো. শাহআলম কাজ করত। বিভিন্ন লোকজন জায়গা-জমি বিক্রি, বিচার-সালিস এর নামে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে নিজেদের জড়িয়ে ইউপিডিএফ মূল দলের নামে রাজত্ব করত এই চক্রটি।

মরাডলু এলাকার সন্ত্রাসী পিচ্চি রফিক নিহতের বেশ কয়েক বছর পর তার ছেলে রবিউল হোসেন এলাকায় এসে পিতার বিক্রিত সম্পত্তি ফেরত দিতে এলাকার আবুল কালাম ও মো. শাহআলমকে দিয়ে মো. সবুর আলী(৫৫) পিতা মো. হাফিজ আহম্মদকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে। এতে সবুর আলী ক্রয়কৃত ও রেকডীয় সম্পত্তি ফেরৎ দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ভয়-ভীতি দেখায় রবিউল! এর এক পর্যায়ে গত ৩১ মার্চ বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরাডলু বাড়ি থেকে মো. সবুর আলীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন সন্ত্রাসী! কিছুক্ষণ পর সবুর আলীর ছেলের মোবাইলে সবুর আলীর মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

বিষয়টি দ্রুত পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে অবগত করা হলে অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন ও সিন্দুকছড়ি জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মিরাজ পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিয়ে সারারাত সন্দেহভাজন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. আবুল কালাম(৩০)পিতা. মো. মোস্তফা মিয়া এয়াতলংপাড়া ও মো. শাহআলম(২৫), পিতা. আবদুর রব, উত্তর ডলুকে আটক করেন।

পরে আটককৃতদের তথ্যমতে বিভিন্নস্থানে উদ্ধার অভিযানে টহল জোরদার করা হলে ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মো. সবুর আলীকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারী সন্ত্রাসীরা।
অপহৃত সবুর আলী ফেরত আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন।

Exit mobile version