parbattanews

৫দিনেও খোঁজ মিলেনি রামগড় কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মী শুভ’র

হারিয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মী শুভ

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার বৈদ্যপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোবাইডর সিএইচসিপি স্বাস্থ্য সেবা কর্মী শুভ কুমার ত্রিপুরার (২৯) খোঁজ পাওয়া যায়নি ৫ দিনেও। নিখোঁজ শুভ’র মোবাইল নম্বর থেকে কল করে স্বজনদের কাছে তার স্ত্রীর ফোন নম্বর চেয়েছে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি।

মঙ্গলবার(১০ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে রামগড়ের নাকাপা বাজার সংলগ্ন তালমনি পাড়ার তার নিজ বাসা থেকে প্রতিদিনের মত তিনি কর্মস্থল বৈদ্যপাড়া হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন।

তবে, সন্ধ্যার পরও তিনি বাড়িতে না ফেরায় তার পিতা সতন কুমার ত্রিপুরা শুভ’র দুটি নম্বরে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পান। পরে মাটিরাঙ্গার বাইল্যাছড়িতে পুত্রবধু শোভা রাণীকে কল করে সেখানে গেছে কি না খোঁজ নিয়ে জানেন ওখানেও যায়নি।

পরদিন অর্থাৎ ১১ মার্চ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিনাত রেহানা তার স্ত্রী শোভা রাণীকে অফিসে খবর দিয়ে এনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেন।

এর প্রেক্ষিতে শোভা রাণী ঐদিন রামগড় থানায় একটি জিডি (নম্বর ৪২৯, তাং ১১.৩.২০২০) করেন । পুলিশ জানায়, নিখোঁজ শুভকে উদ্ধারে তারা নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু ৫ দিন পরও তার হদিস পাওয়া যায়নি।

এদিকে, শুক্রবার (১৩ মার্চ) গভীর রাতে শুভ’র দুটি মোবাইল নম্বর থেকে তার ছোট ভাই ও জেঠাতো ভাইকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি কল করে শুভ”র স্ত্রীর মোবাইল নম্বর চায়। পরিচয় জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি কল কেটে দেয় বলে জানান শুভ’র ছোট ভাই নজেন্দ্র ত্রিপুরা।

এদিকে, আর্থিক বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না শুভ’র। তাই স্ত্রী শোভা রাণী থাকেন মাটিরাঙ্গার বাইল্যাছড়িতে। আর শুভ ৯ বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকেন রামগড়ে নাকাপার তালমনিপাড়া গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে।

শুভ’র ছোট ভাই নজেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, বৌদির চাকরির জন্য দাদা ৩-৪ মাস আগে ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকার ঋণ নেন। আরও টাকার জন্য বৌদি দাদাকে চাপাচাপি কবছিল। এনিয়ে দুজনের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। থানায় জিডি কবলেও তিনি এ বিষয়ে তাদের পরিবারের সাথে কোন কথাবার্তাও বলেননি। এমনকি ভাই নিখোঁজের ৫ দিন হলেও তিনি তাকে খোঁজাখুঁজির ব্যাপারে তাদের সাথে কোন রকম যোগাযোগও রাখছেন না। নিখোঁজের পর থেকেই তার ভুমিকায় কেউ সন্তুষ্ট নয়।

এদিকে, জিডি’র তদন্ত কর্মকর্তা রামগড় থানার এস আই আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিকসহ সবগুলো দিক মাথায় রেখেই কাজ চলছে। সহসাই ক্লু পাওয়া যেতে পারে।

Exit mobile version