parbattanews

৬মাসের মাথায় কথিত প্রেসক্লাবে ভাঙন, অব্যাহতি নিলেন ৯ জন

চলতি বছরে গঠিত কথিত প্রেসক্লাবে এইবার ভাঙনের সুর বেজেছে। অব্যাহতি নিলেন কার্যকরী কমিটির নয়জন সদস্য। বৃহস্পতিবার (১৫জুলাই) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে লিখিত বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর মাধ্যমে তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কথিত সংগঠন থেকে অব্যাহতি নেওয়া সদস্যরা হলেন, রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক ও জিটিভির জেলা প্রতিনিধি মিল্টন বাহাদুর, রাঙামাটি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি বিজয় ধর, রাঙামাটি রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোলায়মান, রাঙামাটি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তর টিভি জেলা প্রতিনিধি উচিং ছা রাখাইন কায়েস, রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরাম এর সদস্য ও আরটিভি জেলা প্রতিনিধি, ইয়াছিন রানা সোহেল, রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভি জেলা প্রতিনিধি আলমগীর মানিক, রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়ন এর অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি নুরুল আমীন মানিক এবং রাঙামাটি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. শাহ আলম।

গণমাধ্যমে পাঠনো লিখিত পত্রে বলা হয়- রাঙামাটির সংবাদিকদের প্রধান ও প্রাচীন সংগঠন রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবে সদস্যভুক্তির জটিলতা নিরসনে প্রেসক্লাবের বাইরে অন্যান্য সংগঠনের সমন্বয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সে উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো একই নামে তথা “রাঙামাটি প্রেসক্লাব” নাম দিয়ে নতুন সংগঠন করা হয়েছে। যা সাংবাদিকদের মধ্যে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির পরিবেশ তৈরি করেছে। এটি রাঙামাটি জেলার সাংবাদিক সমাজের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।

এছাড়া নতুন এ সংগঠনটি মূল প্রেসক্লাবের সাথে বিরোধ তৈরীর মাধ্যমে রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে বিরাজমান সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে।

লিখিত পত্রে আরও বলা হয় “সম্প্রতি প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ পিআইবি‘র উদ্যোগে আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সংবাদকর্মীদের যোগদানে তাঁরা নিষেধ করেন এবং বেশ কয়েকজনকে কর্মশালায় যোগদানের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, কথিত এ সংগঠনটি সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। যা সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা পরিপন্থি শুধু নয়, সাংবাদিকতার নীতিমালারও পরিপন্থি।

তাই আমরা সংগঠনটিকে পরিত্যাগ করলাম। এ সংগঠনের সাথে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা এবং এ সংগঠনের কোন কার্যক্রমের জন্য আমাদের কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না বলে সদস্যগণ লিখিত পত্রে উল্লেখ করেন।

Exit mobile version