parbattanews

৭ দিনেও হদিস মেলেনি রাঙামাটির লঞ্চ চালকের

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতদিনেও হদিস মেলেনি রাঙামাটিতে নিখোঁজ লঞ্চ চালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সবুজের। চলতি মাসের ১৫মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাতে নিখোঁজ হয় সবুজ। সে থেকে এখনও খোঁজ মিলেনি তার। নিখোঁজ সবুজ পেশায় একজন লঞ্চ চালক। তিনি শহরের পুরানবস্তী এলাকার বাসীন্দা মৃত হাজী মো. আব্দুস সত্তারের ছোট ছেলে।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। কিন্তু সবুজকে খোঁজারমত পুলিশের এখনও কোন উদ্যোগ দেখেনি বলে অভিযোগ তাদের পরিবারের।

নিখোঁজ সবুজের স্ত্রী আক্তারি বেগম জানান, রাঙামাটি শহরের কাপ্তাই হ্রদের ওপড়ে অর্থাৎ পুরানবস্তী এলাকায় বসবাস করে তারা। ১৮মাসের এক কন্যা সন্তান আর মা-বোনসহ এক সাথে বসবাস করতো তারা। সবুজরা ২ বোন এক ভাই। পরিবারে তিনি ছাড়া উপার্জন করারমত অন্য কেউ নেয়। তাই নিজেদের আত্মীয়দের লঞ্চের চালক ছিল সবুজ।

দীর্ঘ ৮ বছরের সংসার জীবনে তার স্বামীকে এক রাতের জন্য কোন দিন বাইরে থাকতে দেখেননি তিনি। কিন্তু ১৫মার্চ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বন্ধুর মেহেদী অনষ্ঠান আছে বলে ঘর থেকে বের হয় সবুজ। মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে রাত ১০.২৯মিনিটেও কথা হয় স্বামীর সাথে তার।

সে সময় সবুজ তার স্ত্রীকে জানায় রাত বেশি হলেও বাড়ি ফিরে যাবে সে। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি আবারও সবুজকে মোবাইলে ফোন করে (যার নং-০১৬৩-৫৮৬৪২২৭)। কিন্তু তার ফোন বন্ধ দেখে দুশ্চিন্তা শুরু হয়। রাত পেরিয়ে ভোর হলেও সে আর বাসাই ফিরে আসেনা। সারাদিন সব আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদের বাসায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি তার। পরে আক্তারী বেগম নিজে বাদি হয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে যার নং-৯১৫ তারিখ-১৭/০৩/২০১৮ইং।।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি খুঁজে বের করতে। পুলিশের একটি বিশেষ দল এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে। তার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পুলিশের বেতার বার্তার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version