parbattanews

৭৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ অনুসন্ধানে সহযোগিতা করছে না আইসিএল

নিউজ ডেস্ক

বেশি সুদের আশ্বাস দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক জামায়াত নেতা এবং বর্তমানে জাতীয় পার্টির সহসভাপতি শফিকুর রহমানের আইসিএল গ্রুপ দুদকের তদন্তে কোনো সহযোগিতা করছে না।

দুদকের অনুসন্ধান দল প্রতিষ্ঠানটির কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিলে প্রথমে দুদকের চিঠি গ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অপারগতা জানানো হয়। পরে চিঠি নিলেও বেঁধে দেয়া সময়ে কোনো তথ্য দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে কাল আইসিএলকে দ্বিতীয় দফা চিঠি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুদকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

জনগণের কাছ থেকে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০ মার্চ পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধ্যান কমিটি করে দুদক। ২৮ মার্চ আইসিএল গ্রুপটির বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় অনুসন্ধান কমিটি। চিঠিতে গত ৪ এপ্রিলের মধ্যে তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কোনো তথ্য না দিয়ে ৬ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে।

দুদক জানায়, তাদের কাছে খবর আছে যে, আইসিএলের কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ বিক্রির চেষ্টা করছে। এর চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এইচএনএম শফিকুর রহমান মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়া সরকারের ‘সেকেন্ড হোম’ কর্মসূচির আওতায় শফিকুর রহমান সেখানে বসবাস করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে শফিকুর রহমানের একাধিক মোবাইল ও টিঅ্যান্ডটি নম্বরে ফোন দিলেও তিনি তা ধরেননি।

আইসিএলের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অভিযোগ আছে, দৃশ্যমান এবং নাম-প্যাডসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে চড়া সুদের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পর প্রধান কার্যালয়সহ সারা দেশের ৩৪টি অফিস বন্ধ করে দিয়ে উধাও হয়ে যায় আইসিএল গ্রুপ। এমন প্রতারণায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক।

এই সংবাদের পর দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে কমিটি করে দুদক। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক মো. রওশন আলম, মো. ফেরদৌস সেরনিয়াবাদ, সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং উপ-সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খান।

Exit mobile version