parbattanews

৭ স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার, চার মাসেই করেন তিন বিয়ে

কুষ্টিয়ায় রবিজুল ইসলাম (৩৯) নামের এক যুবক ৭ স্ত্রীকে নিয়ে গড়েছেন সুখের সংসার। তবে এক ছাদের নিচে থাকলেও স্ত্রীদের মধ্যে নেই ঝগড়া-বিবাদ।

রবিজুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মন্ডলের ছেলে।

তিনি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলেন। দুই বছর আগে আসেন দেশে। লিবিয়াতে থাকার সময়ই ১৯৯৯ সালে প্রথম রুবিনাকে বিয়ে করেন রবিজুল ইসলাম। এই দম্পত্তির দুই ছেলে রয়েছে।

এরপর ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করেন। এ স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে। করোনার সময় ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করেন। তার এক মেয়ে আছে।

২০২২ সালে বিয়ে করেন স্বপ্নাকে। মাস চারেক আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেন। সব বিয়েই করেন পারিবারিকভাবে।

তার স্ত্রীরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বলপুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।

একাধিক বিয়ে করার কারণ জানতে চাইলে রবিজুল ইসলাম বলেন, ‌‘আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেজন্য আমার মা মানত করেছিলেন যে, ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দিবেন। মায়ের সেই মানত পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি।’

স্ত্রীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাতটি বউ-ই খুব ভালো। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার আমার। তারা সারাদিন একসঙ্গে কাজ করেন। সপ্তাহের সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকি। এতে কোনো সমস্যা হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। গত দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখার সেন্টার আছে। এছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি এখন ড্রাইভিং শেখাই।’

স্থানীয়রা বলেন, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করে। সবাই মিলে ভালোই আছে।

রবিজুলের স্ত্রীরা বলেন, তারা সাত বোনের মতো। সারাদিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করেন। সবার সঙ্গেই সবার ভালো সম্পর্ক। কেউ কাউকে হিংসা করেন না। তারা জেনে-শুনেই বিয়ে করেছেন। স্বামী এমন কিছু করেন না-যাতে তাদের মন খারাপ হবে। এভাবেই তারা সংসার চালিয়ে যেতে চান বলেও জানান তারা।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া আলিয়া মাদরাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হালিম শরিফ জানান, পবিত্র কোরআনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে যে, একজন সচ্ছল পুরুষ একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারজন স্ত্রী রাখতে পারবেন। কেউ এর বেশি স্ত্রী রাখলে তা হারাম হবে।

Exit mobile version