৮-৯ নভেম্বর পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান
শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি, খাগড়াছড়ি।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাস সাধনা অর্থ্যাৎ বর্ষাবাসের পর শুরু হলো এক মাস ব্যাপী বড় ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান। এরই প্রেক্ষিতে আগামী ৯/১০ নভেম্বর রোজ শুক্র ও শনিবার আড়াই হাজার বছর পূর্বে ধনঞ্জয় শ্রেষ্ঠীয় তনয়া উপাসিকা বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত দানশ্রেষ্ঠ কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান ৭ম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পানছড়ি শান্তিপুর অরন্যে কুটিরে । দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ বৌদ্ধমূর্তিটি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়িতে অবস্থিত। পানছড়ি সদর উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিন পশ্চিমে এক সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলায় সবুজে ঘেরা বেষ্টিত নির্জন এলাকায় শান্তিপুর অরন্য কুটির অবস্থিত ।
এই কুটিরে প্রবেশ মুহুর্তে চোখে পড়ে নয়নাভিরাম ৪৮ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ বৌদ্ধ মূর্তি। এই মুর্তি দেখার জন্য প্রতিদিন বেড়াতে আসে শত শত পর্যটক। কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান কালীন সময়ে সমাগম ঘটে লক্ষাধিক মানুষের। তাই বর্তমানে পানছড়ি শান্তিপুর অরন্যে কুটিরকে পূণ্যাথীরা সাঁজাচ্ছে তাদের মনের মত করে। পানছড়ি শান্তিপুর অরন্যে কুটিরের সাধারণ সম্পাদক অরুণ বিকাশ চাকমা এ প্রতিবেদকে জানান, গৌতম বুদ্ধের সময় বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা, সুতা থেকে কাপড় বুনে চীবর সেলাই করে ভিক্ষুদের যে কাপড় দান করা হয় সেটিকে কঠির চীবর বলা হয়। এ দান সম্পর্কে তথাগত সম্যক সমবুদ্ধো বলেছিলেন, এ দানের ফল জন্ম জন্মান্তরেও শেষ হয় না। তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অনেক বড় ও উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় উৎসব।