৯৬ ঘন্টার হরতালের হুমকি প্রত্যাহারের ঘোষণা সমঅধিকার আন্দোলন একাংশের

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:
জাতীয় সংসদে গত ১৬ জুন পেশকৃত বহুল বিতর্কিত পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন-২০১৩ বিল পাশ করা হবে না বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে আশ্বাসদানের প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন একাংশের ২-৫ জুলাই ৯৬ ঘন্টার হরতালের হুমকি প্রত্যাহার করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের মতামতের আলোকে সমঅধিকার আন্দোলন একাংশের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি মশিউল আলম হুমায়ুন ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির উপরোক্ত হরতালের হুমকি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। রোববার রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় বলতে কি বোঝানো হয়েছে তা পরিস্কার করে বলা হয়নি ঐ বিবৃতিতে। তবে টেলিফোন আলাপে সমঅধিকারের এক শীর্ষ নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, তাদের সংগটনের সভাপতিকে ডেকে রাঙামাটির ডিসি সংশোধনী পাস করা হবেনা মর্মে নিশ্চিত করেছেন। সেকারণেই এই হরতালের হুমকি প্রত্যাহার করে নেয়া হলো।

আজ ঢাকার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে সমঅধিকারের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মহাসচিব সহ তিন পার্বত্য জেলার শীর্ষ নেতা এম.জাহাঙ্গীর কামাল, খলিলুর রহমান মাষ্টার, এম.আনোয়ারুল্লাহ, আইয়ুব আলী মেম্বার, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী, আব্দুর রহমান মানিক, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী ও নারী নেত্রী রওশন আরা সুরমা ৯ দফা দাবীতে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচির অনুশীলন চালিয়ে যাবার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে পার্বত্যবাসী বাঙালি ও উপজাতিয় জনগোষ্ঠিকে কতিপয় উগ্র, সাম্প্রদায়িক, হিংস্র জুন্ম-পাহাড়ী নেতার কবলমুক্ত করে পাহাড়কে দেশের সংবিধান মোতাবেক একটি স্থিতিশীল ভূ-খন্ড হিসেবে  সু-রক্ষার জন্য দেশবাসীর ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য কামনা করা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা পার্বত্যবাসী জনগণ। যে সকল নেতারা পাহাড়ের বাঙালিদের বিপদের দিনে পাশে না দাড়িয়ে নির্বাচনের ধান্দায় ব্যস্ত, তাদেরকে পার্বত্যবাসী জনগণ প্রত্যাখান করেছে। আগামী দিনে নির্বাচনের কোন সুযোগ সন্ধান করা হলে তাদেরকে পাহাড়ের বাঙালিরা আস্তাকুরে নিক্ষেপ করবে। ঐসব মতলববাজদের কথায় সমঅধিকার আন্দোলন নেতা কর্মী সমর্থকদেরকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন