parbattanews

‌সন্তু লারমার অসহযোগের বিরুদ্ধে পাহাড়ের বাঙালি-উপজাতি জনগোষ্ঠি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে: সমঅধিকার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতার লাল সূর্যটিকে ছিনিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু আজ পার্বত্য চট্টগ্রামকে যারা জুম্মল্যান্ড নামে স্বাধীন করতে চায়, যারা নিজেদেরকে বাংলাদেশী কিংবা বাঙালি জাতি হিসেবে স্বীকার করে না বরং নিজেদেরকে জুম্ম জাতি বলে দাবী করে থাকে, যারা জুম্ম কন্ঠ, জুম্ম নিউজ বুলেটিন, জুম্মল্যান্ড লিবারেশান আর্মি (শান্তি বাহিনী) বলে প্রচার করতে বেশী তৃপ্তি বোধ করে, তারাই আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে অসহযোগ আন্দোলনের নামে হাট বাজার বন্ধ করে দিয়ে দরিদ্র পার্বত্যবাসীর পেটে লাথি মারার চেষ্টা করছে। সন্তু লারমার অসহযোগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে পাহাড়ের বাঙালি ও উপজাতি জনগোষ্ঠি আজ ঐক্যবদ্ধ। সমঅধিকার আন্দোলনের নেতৃত্বে পাহাড়ের জনগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।

আজ ঢাকায় সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব এবং রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার (এফএফ ২ নং সেক্টর) মনিরুজ্জামান মনির এবং কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কামাল, হাজী মোঃ ইউনুস কমিশনার, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী এম আনোয়ার উল্লাহ এবং আব্দুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান উপরোক্ত অভিমত প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন- বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে তথাকথিত শান্তি বাহিনীর সাথে যে শান্তি চুক্তি করেছে সেটি নিতান্তই একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। কিন্তু এই শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে পাহাড়ে সন্তু লারমারা একে একে মানবাধিকার লংঘন করে চলছেন। গতকাল বুধবার রাঙামাটিতে তথাকথিত অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে হাট বাজার বন্ধের যে মহড়া দেখানো হয়েছে, তাতে করে তিন পার্বত্য জেলার জনগণ দারুনভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমরা এই ধরনের গণবিরোধী এবং গরীবের পেটে লাথি মারার মত কর্মসূচীর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন- পাহাড়ে অবিলম্বে যাবতীয় বে-আইনী অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, জেএসএস বনাম ইউপিডিএফ যেভাবে চাঁদাবাজী এবং আধিপত্য বজায় রাখতে একে অপরের বিরুদ্ধে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে, তাতে করে পার্বত্যবাসী জনগণ দারুণভাবে নিরাপত্তার অভাববোধ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন যে ৯ দফা দাবীনামা সরকারের কাছে পেশ করেছে কেবল মাত্র সেগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাহাড়ে স্থায়ীভাবে ভূমি সমস্যার সমাধানসহ ঐক্য, শান্তি ও সম্প্রীতি চিরস্থায়ী হতে বাধ্য বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

Exit mobile version