parbattanews

পেকুয়ায় প্রবাসির টাকা নিয়ে উধাও জিটিসিএল এর সাব কন্ট্রাকটার!

প্রতারণা

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় জিটিসিএল-এর সাব-কন্ট্রাকটার মো. রিপন ও মো. হাসেমের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন এক সৌদি প্রবাসি। পেকুয়ায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে। এ সুবাধে পেট্ট্রো বাংলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসিএল এর সাব-কন্ট্রাকটার হিসেবে পেকুয়ায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন কাজ বাস্তবায়ন করছেন তারা দু’জন।

এদিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোঁয়াখালী এলাকার মৃত সোলমানের ছেলে সৌদি প্রবাসি মুহাম্মদ হোসেন ওই দুই সাব ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ৩লাখ ৬৫হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার প্রবাসি মো. হোসেন বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা রুজু করেন। ওই মামলায় বাদি ঢাকা মহনগরের বাসিন্দা মো. রিপন ও মো. হাসেমকে আসামি করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিবাদিগণ গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে সাব ঠিকাদার হিসেবে পেকুয়ায়-এর বাস্তবায়ন কাজ পরিচালনা করছেন। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া, মইয়াদিয়া, গোঁয়াখালী এলাকা হয়ে কাজ সম্প্রসারন হচ্ছে। এর মধ্যে রিপনের সাথে বাদির পরিচয় হয়। রিপন ঢাকা থেকে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে প্রবাসির বাড়িতে বেড়াতেও আসেন।

কোটি কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করছে রিপন। এ সুবাধে প্রবাসির কাছে তার আস্থাও বাড়ে। এদিকে রিপন হঠাৎ অর্থ সংকটে পড়ে। শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে রিপন প্রবাসির কাছ থেকে প্রথম ধাপে তিন লাখ টাকা নেন। পরে পৃথক সময়ে একই অযুহাত দেখিয়ে ছয় লাখ আশি হাজার টাকা ধার নেয়। অপরদিকে ঠিকাদার রিপন বিভিন্ন কিস্তিতে প্রবাসিকে চেক ও নগদে তিন লাখ পনের হাজার টাকা পরিশোধও করে।

মামলায় বাদি জানিয়েছেন অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের কথা বলে গত এক সপ্তাহ আগে তাকে মুঠোফোনে পেকুয়া ইসলামী ব্যাংক শাখার সামনে ডেকে আনে। এ সময় তাকে রিপন ও হাসেম একটি কক্ষে ঢুকিয়ে জিম্মি করে একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দ্রুত গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। বর্তমানে ওই রিপন গা ঢাকা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান প্রবাসির মামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন বিবাদি পক্ষকে সমন জারি করা হবে।

Exit mobile version