পার্বত্যাঞ্চলে সম্প্রীতি ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছে সেনাবাহিনী

Rangamati sena pic1 copy

স্টাফ রিপোর্টার:

সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেছেন, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া পার্বত্যাঞ্চলে সম্প্রীতি ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছে সেনাবাহিনী। এছাড়া নিয়োজিত সমাজ ও আর্তমানবতার সেবায়। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়ন, শান্তিশৃংখলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নয়নে পাহাড়ী বাঙালিসহ সব জনগোষ্ঠীর মানুষ সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবনির্মিত অডিটোরিয়াম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের জিওসি।

সকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ এমএ মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জিওসি মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তার সহধর্মিনী বেগম নাহিদ নায়লা কবির, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সানাউল হক, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামস, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শহীদ উল্লাহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক লিটন দেব। পরে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জিওসি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে এবং এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তিন পার্বত্য জেলায় মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বৃত্তি ও সহায়তামূলক কর্মকা- পরিচালনা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। শিক্ষা ছাড়াও এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, আর্থ-সামাজিক, সংস্কৃতি ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক ব্যাপক কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে।
তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়ন ও আইনশৃংখলা রক্ষায় প্রয়োজন এখানকার সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ। আর সবার শান্তির জন্য দরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নয়ন। পার্বত্যাঞ্চলে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
তিনি আরও বলেন, উন্নত জাতি গঠনে প্রয়োজন সুশিক্ষিত ও দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলা। তাই রাঙামাটি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনী পরিচালিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পার্বত্যবাসীর। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন