parbattanews

বিতর্কিত ভূমি কমিশনের ডাকা  বৈঠকের প্রতিবাদে ৪ সেপ্টেম্বর  হরতাল ডেকেছে পাঁচ বাঙ্গালী সংগঠন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

পার্বত্য জনগণের আন্দোলনকে  উপেক্ষা করে সরকার ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি  বিরোধ নিষ্পত্তি  কমিশন আইন ২০০১’ ও তার ‘সংশোধনী ২০১৬’ বাস্তবায়নের জন্য খুব তড়িগড়ি করে ৪ সেপ্টেম্বর বৈঠক ডেকেছে, যা বাঙ্গালীদের আবেগের সাথে এক ধরনের তামাশার শামিল । সরকারের উক্ত কর্মসূচির প্রতিবাদে পার্বত্য চট্রগ্রামের ৫টি বাঙালী সংগঠন বুধবার ৩১ আগস্ট সকাল ১১ টায় পার্বত্য গণ পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মো. মনিরুজ্জামান মনির, পার্বত্য গণ পরিষদের মহাসচিব এডভোকেট মোহাম্মদ আলম খান,  পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আহম্মেদ রাজু, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ’র ঢাকা মহানগর সভাপতি সাহাদাত ফরাজি সাকিব, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ এর ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম খান, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক প্রমুখ ।

সভায় সরকারের বিতর্কিত ভূমি কমিশনের  উক্ত বৈঠকের প্রতিবাদে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর তিন পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচির সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিতে গৃহিত হয় এবং বৈঠকের স্থল ঘেরাও কর্মসূচিও গ্রহন করা হয় ।

সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক নয় । তারা এক চেটিয়া উপজাতীদের পক্ষে সায় দিয়ে আসছে । পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০১৬ মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে যেখানে বাঙ্গলীদের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধিও রাখা হয়নি । আমাদের বিশ্বাস এই আইন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে সকল বাঙ্গালীদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য গেরিলা নেতা সন্তু লারমাকে সকল ধরনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে । আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে, এই  সংশোধিত ভূমি কমিশন আইন কার্যকর হলে পার্বত্যাঞ্চলে তুমুল সংঘাতের সম্ভবনা দেখা দিবে তাতে কোন সন্দেহ নেই । এই বিতর্কীত আইন বাতিল করার দাবিসহ পার্বত্য চট্রগ্রামের ৪৮% বাঙ্গালীদের প্রানের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি অনুরুধ জানানো হয় ।

বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭০-১৯৮১ সালে যেসব বাঙালি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়েছিল এই ভূমি কমিশন আইন সংস্করণের ফলে  তাদেরকেও সেখান থেকে চলে আসতে হবে ভিটেমাটি ছেড়ে।

Exit mobile version