খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা, সড়কে ব্যারিকেড, জনভোগান্তি


খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ও এই ঘটনা কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা চালিয়েছে এবং সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ি বিভিন্ন পেইজ ও বিক্ষোভকারীদের ওয়াল থেকে বিভ্রান্তমূলক গুজব ও উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যানারে শুক্রবার দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নিপীড়ন বিরোধী ও বিচারের দাবিতে জেলা শহরের চেঙ্গী স্কোয়ারে সমাবেশ ও বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। চেঙ্গী স্কোয়ার মোড়ের সবকটি সড়ক ব্লক করে সমাবেশ করে তারা। মিছিল ও সমাবেশে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রবিরোধী প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেছে। তারা সড়কে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি দেখে লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে যায় ও গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এতে গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একজন আহত হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন, অষ্টম শ্রেণির মারমা শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় চয়ন শীল নামে সন্দেহভাজন এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের বাবার দায়ের করা এজাহারে অজ্ঞাত আরোও ২ আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে। ভিকটিম মারমা শিক্ষার্থী জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক মারমা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বুধবার ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় এজাহার দায়ের করে এবং সেনবাহিনীর সহায়তায় ওই এলাকা থেকে চয়ন শীল নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে আটক কিশোর বর্তমানে ৬ দিনের রিমান্ডে রয়েছে।
খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা এবং এ ঘটনা কেন্দ্র করে তিন পার্বত্য জেলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি নিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডাকসু কার্যনির্বাহী সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সর্ব মিত্র চাকমা। তিনি স্থানীয় জনগণকে আইনের প্রতি ভরসা রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দিকে ধাবিত না করে ধর্ষকদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দিকে নজর দিতে হবে।’