ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মাটিরাঙ্গায় সাত আশ্রয় কেন্দ্র
ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য এবং ফায়ার সার্ভিসকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রস্তুত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজকুমার শীল, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, উপজেলা রিসোর্স ইনস্ট্রাক্টর মো. আজগর হোসেন, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সাদিকুর রহমান, মাটিরাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভুইয়া ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উপ-যুব প্রধান-১ মো. আব্দুল মালেক ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সার্বক্ষনিক দুর্যোগ নিয়ন্ত্রন কক্ষ চালু রাখাসহ মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরে একটিসহ সাতটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো হলো, মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাইন্দং বটতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তবলছড়ি যতনকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাকবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোমতি বি. কে উচ্চ বিদ্যালয়, আমতলী উচ্চ বিদ্যালয় ও বেলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়।
সভায় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রাখাসহ সচেতনতামূলক মাইকিং, পাহাড় ধ্বসসহ জরুরী প্রয়োজনে সম্মিলিতভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।