তৌফিকুলের দুটি চোখের নিভে যাওয়া আলো ফিরিয়ে আনার আকুল আবেদন

fec-image

একজন মেধাবী ছাত্র, খেলাধুলায় পারদর্শী গরিব ঘরের বড় ছেলে তৌফিকুল ইসলাম (২২)। হঠাৎ এক সকালে ঘুম থেকে উঠেই দুচোখে ঝাপসা দেখতে পাচ্ছিল। এর পর ক্রমেই দুনিয়ার আলো দেখার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায় তার। বলছি রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মাওলানা কামাল হোসেনের বড় ছেলের কথা।

তৌফিকুল সে তার পরিবারের মোট ৯ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। বাকি সবার মতো সেও সুস্থ স্বাভাবিকভাবেই বড় হয়েছে। লেখাপড়াও ভালো, সদ্য ইন্টার শেষ করে বাবার সাথে পরিবারের হাল ধরার চেষ্টা করছিলেন। তখনি ঘটে বিপত্তি।

তৌফিকুল ইসলামের বাবা মাওলানা কামাল হুজুর বলেন, পরিবারের এগারো সদস্য নিয়ে কোনরকম দিন পারছিলাম। তৌফিকুল ইসলাম আমার ৯ সন্তানের বড় ছেলে। সে সদ্য ইন্টার পাশ করেছে। এরপর অনার্সে ভর্তি হবে হবে ঠিক ঐসময় একদিন হঠাৎ রাতে ঘুম থেকে উঠে সকালে সে তার মাকে বলছে, আম্মু আমি চোখে কিছু দেখছি না। তখন আমরা রাঙ্গামাটি গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করি। সেখানে ভালো চিকিৎসা না পাওয়ায় ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাই। ওখানে একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখালে, ডাক্তার ছেলেকে দেখে তার দুটির চোখের লেন্স নষ্ট হয়েছে বলে জানায়। দুটি লেন্স খুব শীঘ্রই অপারেশন করতে বলে। ডাক্তার প্রাথমিকভাবে জানান, দুটি চোখ অপারেশন করতে অন্তত ২ দুই লক্ষ ৮০ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে। আমরা গরিব মানুষ, আমার পক্ষে ছেলের চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা চেয়েছি।

তৌফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তৌফিক বলেন, প্রথমে আমার প্রায় সময় মাথা ব্যথা করতো, আমি বিভিন্ন সময় ফার্মেসি থেকে মাথা ব্যথার জন্য টাপনিল ট্যাবলেট খেতাম। শেষ যেদিন মাথা ব্যথা করে সেদিনও টাপনিল খেয়েছি। রাতে খাওয়ার পর সকাল ঘুম থেকে উঠে আর চোখে কিছু দেখতে পারিনি। এখনো একই অবস্থায় আছি। তবে ডাক্তার কিছু ওষুধ দিয়েছে তা খেয়ে কিছুটা দেখতে পাই। চিকিৎসক বলেছেন, শীঘ্রই অপারেশন করে দুটি চোখের লেন্স পরিবর্তন করতে। না হয় কিছুদিন পর লেন্স পরিবর্তন করলেও আর চোখে দেখা সম্ভব হবে না।

আত্মীয় স্বজনরা বলেন, যে বয়সে সে তার পরিবারের হাল ধরার কথা ছিল সে বয়সে অনিশ্চিত অন্ধকার এক জীবন পাড় করতে হচ্ছে তার। হঠাৎ তার চোখে সমস্যা দেখা দেয়। পরে দিনে দিনে চরম অবনতির কারণে চোখের আলো আস্তে আস্তে চলে যায়। তার বাবা একজন ইমাম। তার যে বেতন তা দিয়ে সে পরিবারের দায়িত্ব পালন করতেই হিমশিম খান। আর বর্তমানে তাঁর চাকরিটাও নেই। চিকিৎসা ব্যয় আনুমানিক ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা হওয়ায়, তার চিকিৎসা করার মতো সাধ্য বাবার নেই।

তাই স্থানীয়দের সহযোগিতায় সমাজের অসহায় একজন ইমাম সাহেব যারা লজ্জায় কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারেন না, তার এবং তার পরিবারের কথা চিন্তা করে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনলাইনে একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে, যেখানে তিনটি বিকাশ নাম্বার যুক্ত করা হয়েছে। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চান ছেলেটির পরিবার।

আপনার সাহায্য পাঠাতে নিম্নোক্ত নাম্বারে
1. 01630512296 (BKash) মো. শাহজাহান অর্ণব
2. 01646073639 (Nagad/BKash) Awal
3. 01888419567 ( BKash) রাসেল মাহমুদ
উপরোক্ত নাম্বারসমূহ ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে লেনদেন না করার অনুরোধ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন