বিদেশে পাচারকৃত অর্থ এবং অন্যান্য অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা না থাকায় এ বাজেট জাতিকে হতাশ করবে : জামায়াত

fec-image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ এবং অন্যান্য অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যায়নি, যা জাতিকে হতাশ করবে। এ ছাড়া কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এই অপচেষ্টা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

প্রস্তাবিত এবারের বাজেটকে আগের মতোই গতানুগতিক বলে মনে করে জামায়াত। দলটি বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে এর আগের অর্থবছরের বাজেটের খুব একটা তফাত দেখা যায়নি। কোনো নতুনত্বের ছোঁয়াও পরিলক্ষিত হয়নি।

বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোমবার রাতে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম। এতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম বাজেটে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে এর কাছাকাছিও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এবারও রাজস্ব আদায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না উল্লেখ করে বিবৃতিতে জামায়াত বলেছে, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেট বাড়িয়ে ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার একটি বড় অংশ আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ধরনের পরোক্ষ কর বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ দেখা গেলেও প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির তেমন উদ্যোগ বাজেটে দেখা যাচ্ছে না। সুতার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করায় আরএমজি সেক্টরে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

বাজেটে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা প্রদান, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বরাদ্দ রাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম। তবে এ বরাদ্দ আরও বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন