খুলেছে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ছেড়ে গেছে দূর পাল্লার যানবাহন

খাগড়াছড়ির বাজারে পাহাড়ি-বাঙালির উপস্থিতি স্বাভাবিক

fec-image

খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। মানুষ তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বের হয়েছেন। দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে। গতকাল বন্ধ থাকলেও আজ খাগড়াছড়ি-পানছড়ি ও দীঘিনালা সড়কে গাড়ি চলাচল করছে।

নানা গুজব সত্ত্বেও খাগড়াছড়িতে আজ সাপ্তাহিক হাটবারে পাহাড়ি-বাঙালি ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল আগের মতো। সকল দোকানপাট খুলেছে। শহরেও হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক। পৌর শাপলা চত্বরে ছিল রীতিমতো যানজট। বাজার স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি পাহাড়ি-বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের ক্রেতা-বিক্রেতারা।

অভিযোগ রয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বাজারে কয়েকজন যুবক এসে গুজর ছড়ায় যে, বাঙালিরা সোহেলের লাশ নিয়ে মিছিল করবে। কিন্তু তাতেও বাজারে কোন প্রভাব পড়েনি।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র জানায়, পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানার লাশ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার তার টাঙ্গাইলের বাড়ীতে পৌছেছে।

উল্লেখ, গত মঙ্গলবার ( ১ অক্টোবর) একই প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণির ত্রিপুরা এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার জেরে শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। চলে সংর্ঘষ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঐদিন বিকাল ৩টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বুধবার বিকাল ৩টায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন