জেটির জন্য দুর্ভোগে মহেশখালীর উপদ্বীপ ধলঘাটার ২০ হাজার মানুষ !

fec-image

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উন্নয়ন বঞ্চিত একমাত্র উপদ্বীপ ধলঘাটা। একটি জেটির জন্য দূর্ভোগে অত্র ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ। ধলঘাটাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি টেকসই বেড়িবাঁধ’ও অরক্ষিত রয়েছে র্দীঘ একযুগ ধরে।

মহেশখালীর কালারমারছড়া হয়ে নৌ পথে যোগাযোগের প্রধান ঘাটটিও ব্যবহার অনুপযোগী কয়েক বছর থেকে। তবুও ঝুকিপূর্ণ চলাচলে বাধ্য অবহেলিত জনগোষ্ঠী।

গত অর্থবছরে জেলা পরিষদের মাধ্যমে তিন লক্ষ আশি হাজার টাকা মেরামতের বরাদ্দ আসলেও এখনো দেখা মিলেনি ঠিকাদারের। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে জানেনা স্থানীয় লোকজন।

ধলঘাটা-মাতারবাড়ী কেন্দ্রিক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের সুবাদে সরকারের পদস্থ কর্মকর্তার আগমন হলেও পরিবর্তন আসেনি ধলঘাটাবাসির নড়বড়ে জেটিঘাটের। কক্সবাজার অঞ্চলে ধলঘাটা সাপমারার ডেইল জামে মসজিদের বিশেষ খ্যাতি থাকায় প্রতি শুক্রবারে বিভিন্ন স্থান হতে নারী পুরুষ নামাজ আদায় করতে আসেন।

অনেকেই জানান-কয়েকবার নড়বড়ে জেটিঘাটে দুর্ঘটনা ঘটে। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠে। প্রায় সময় জেটিঘাট নিয়ে ধলঘাটা ইউপি চেয়ারম্যানসহ উর্ধতন জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক সমালোচনার ঝড় উঠে। কিন্তু কে শুনে কার কথা? কয়েকবার মেরামতের নামে বরাদ্দ আসলেও জেটিঘাটের অবস্থা এখনো যেন যে লাউ সে কদু।

সবদিক থেকে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত একমাত্র উপদ্বীপ যেন ধলঘাটা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বেজা তাদের অর্থনৈতিক অনচল করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছে।

স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে উন্নয়নের আশার বানী শুনালেও পরবর্তীতে জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়নে ব্যস্ত থাকায় দীর্ঘকালেও দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি ধলঘাটায়। আসলেও তাই, সরজমিনে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে টেকসই বেড়ীবাঁধ না হওয়ায় কয়েকশত একর আবাদি জমি ও কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে যায় বঙ্গোপসাগরের বুকে।

জেটিঘাটের দুর্ভোগ বিষয়ে ধলঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান-মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে, ঠিকাদার কাজ শুরু না করায় ধলঘাটাবাসির অবর্ননীয় দূর্ভোগ হচ্ছে।

নতুনভাবে জেটিঘাট নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছি। অবহেলিত ধলঘাটাবাসির তবুও তেমন কিছুই আর চাওয়ার নেই। আক্ষেপ শুধু একটাই অন্তত্য নড়বড়ে জেটিঘাটটি যেন সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়।

ঘাটের ইজারাদার আকতার আহমদ জনান, জেটিটি নির্মাণের শুরু থেকেই মানুষ উঠা-নামা করতে সমস্যায় পড়তে হয়। জোয়ারের সময় এই জেটি দিয়ে চলাচল করা অনেকটা দুরুহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন রোগী আনা নেওয়া করতে মরাত্মক সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন হাঁটু পরিমাণ কাঁদা ডিঙ্গিয়ে জেটির কাছে আসতে হয় লোকজনকে।

স্থানীয় সাংসদ আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, নতুনভাবে আবার টেন্ডার হচ্ছে, ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করবো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন