টেকসই উন্নয়ন মাথায় রেখে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য নীতি করার তাগিদ

fec-image

দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য কোনো নীতি প্রণয়ের আগে টেকসই উন্নয়নের বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখার তাগিদ দিয়েছেন গবেষকরা। তাদের মতে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে সহাবস্থান করা অন্য জাতিসত্তাকেও বিবেচনায় না আনলে বাস্তুতান্ত্রিক বিবেচনায় কোনো নীতিই টেকসই হবে না।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডাপটেশন পাথওয়েস: পার্সপেক্টিভ ফ্রম ভালনারেবল ইথনিক কমিউনিটিস’ শীর্ষক জাতীয় একটি সেমিনার থেকে এমন তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। এমনভাবে টেকসই উন্নয়ন করতে হবে যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমাদের সমাজে বসবাসযোগ্য সকল প্রাণ ও প্রাণহীন অংশীজনের বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে এগোতে হবে। কারণ সবারই মূল্য আছে এবং কর্তব্যই মূল্য নির্ধারণ করে দেয়।

জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পরিচালিত ‘ইনক্লুসিভ রেজিল্যান্স টু ক্লাইমেট চেঞ্জ: প্লেইনল্যান্ড ইন্ডিজিনিয়াস পিওপল ক্লাইমেট চেঞ্জ ভালনারেবলিটি অ্যান্ড কালচার সেনসেটিভ অ্যাডাপটেশন পাথওয়েস (আইআরসিসি) গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপনের জন্য এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রকল্প সম্পর্কে উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান।

সেমিনারে দেশের সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এবং তাদের জন্য সংস্কৃতিবান্ধব অভিযোজন পথ নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন