parbattanews

দূর্যোগ সহনীয় ঘর পেয়ে খুশি ৮৯ বয়সী মুক্রাউ মারমা

উন্নয়নের ছোঁয়াতে বদলে গেছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন দূর্গম রাজস্থলী উপজেলা। পিছিয়ে নেই ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ওগাড়ী পাড়া মারমা অধুষ্যিত এলাকা।

রাজস্থলী উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজারের অধিক পরিবারের বসবাস। নানামুখী সমস্যা ও অনাদরে অবহেলায় বসবাসরত সকল সম্প্রদায় প্রশাসন ও সরকারের উদ্যোগের কারণে বর্তমানে অবহেলিত গ্রামগুলো এখন যেন সোনালী দিনের আলোতে জলমল করছে।

সম্প্রতি রাজস্থলী উপজেলার ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ওগাড়ী পাড়া নামক এলাকায় এই কনকনে শীতে একটি ভাঙ্গাচুড়া কুড়ে ঘরে বসবাস করে আসছে ৮৯ বয়সী মুক্রাউ মারমা নামে এক বৃদ্ধা মহিলা। সু-নজরে পড়েছেন রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেকের। এই চিত্র দেখে ইউএনও ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি মহিলাকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরুপ একটি ঘর প্রদান করেন। এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিরা নতুন ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা।

জানা যায়, বহুকাল ধরেই এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি বসবাস করে আসছিল পাহাড়ের চূড়ায়। তাদের নিজস্ব বসতভিটাও ছিল। এসব ভিটায় তাদের মাথা গুঁজার ঠাইও ছিল। অনাদরে অবহেলায় চলে তাদের দিনাতিপাত। আয় উপার্জনের পথ ছিল পরের জমিতে শ্রমবিক্রি ও পাহাড়ের আনাচে কানাচে লতা-পাতা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রয় করা। বর্গাচাষাবাদ গবাদি-পশু পালন পাহাড় থেকে বনজদ্রব্য সংগ্রহ করে বিক্রি করা। এসব কাজে তারা প্রয়োজনীয় পারিশ্রামিক থেকে বঞ্চিত ছিল।

সমস্যার পাহাড় নিয়ে তাদের দিনাতি পাত চলত। যোগাযোগ সমস্যা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস সুপেয় পানীয় জল ও চিকিৎসা সংকট, স্যানিটেশন সমস্যা, পুষ্টি হীনতা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অসচেতনতা, শিক্ষার ব্যাপারে অভাবের কারণে উদাসীনতা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করার সুযোগ না থাকাসহ নানান সমস্যার মধ্যে তাদের দিনাতিপাত ছিল।

বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা ও নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতায় আজকের এই পল্লীগুলো উন্নয়নের ছোঁয়াতে বদলে গিয়ে আলোকিত হয়ে উঠেছে।

৮৯ বছর বয়সী এবৃদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুর্যোগ সহনীয় একটি ঘর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Exit mobile version