নতুন বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা


পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার সকালে ঈদ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক।’
বাণীতে ড. ইউনূস বলেন, ‘মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও চরম ত্যাগের অনুপম নিদর্শন। হযরত ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের প্রাণপ্রিয় সন্তান হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে উদ্যত হন।
এই মহত্তম দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দেন। আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ ও আত্মত্যাগের এই ইতিহাস কেয়ামত পর্যন্ত সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা শান্তি, ত্যাগ ও সাম্যের চর্চা। মুসলিমরা কোরবানিকৃত পশুর গোশত গরিব-দুঃখী, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগ করে দেন, যা সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে তোলে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সহনশীলতা ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক—এটাই হোক ঈদের মূল প্রত্যাশা।’
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে আগামী দিনগুলোয় একটি বৈষম্যমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আসুন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত নতুন বাংলাদেশকে আমরা বৈষম্যহীন ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে রূপান্তরের অঙ্গীকার করি।’
ঈদের দিন মহান আল্লাহর দরবারে দেশের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।