পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত


আজ শনিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘নথি ব্যবস্থাপনা ও সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯’ এর উপর দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
চাকরিজীবীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রেনিং পর্বটি শনিবারের অফিস কর্মদিবসে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আনন্দঘন পরিবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।
এ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল খালেক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেন। অফিসের কাজে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যই ছিল এ প্রশিক্ষণের আয়োজন।
প্রশিক্ষণের প্রথম ভাগে নথি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহারের পাশাপাশি নিজের চাকরি জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে অত্যন্ত সহজ, প্রাঞ্জল ও হাস্যরস বোধ দিয়ে প্রাণবন্ত করে তুলেছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল খালেক।
ট্রেনিং-এ বোরিং কাটানোর জন্য করেছিলেন চমকপ্রদ রিফ্রেশনেস ব্যায়াম। পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে সুন্দর উদাহরণ ও সুন্দর ছবি পরিবেশনের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯-কে
সকলের কাছে সহজবোধ্য করে তুলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম। প্রশিক্ষণের শেষভাগ ছিল আরও চমকপ্রদ। মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) অতুল সরকার ডিমাই সাইজের রঙিন পোস্টারের ব্ল্যাংক
পেপার ও মার্কার পেনসহ প্রশিক্ষণের উপর পাঁচটি গ্রুপে বিভিন্ন বিষয়ের উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের জন্য আয়োজন করেছিলেন ২৫ মিনিটের নির্ধারিত একটি অভিনব প্রয়োগিক কর্মশালা। পাঁচটি গ্রুপকে পাঁচটি নদীর নাম দিয়ে সাজানো হয়। যার মধ্যে ছিল মাতামুহুরী, কর্ণফুলী, যমুনা, সাংগু ও মেঘনা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্তর্ভুক্ত ছিল নতুন নথি খোলা, ডিজিটাল নথি নম্বরের গঠন ও কোডসমূহের বিশ্লেষণ, বরাতসূত্র নির্দেশ, নথির গতিবিধি, নথি উপস্থাপন ও অনুমোদন, নথি প্রেরণ সংক্রান্ত সাধারণ নির্দেশাবলী, নথির রেকর্ড ও সূচিকরণ, রেকর্ডের শ্রেণিবিন্যাস ও সূচিকরণ, রেকর্ড ও সূচিরকরণ পদ্ধতি, নথি মুদ্রণ, রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ, সরকারি কর্মচারি (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ এবং সকলের অংশগ্রহণে হাতে কলমে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োগিক কর্মশালা।