parbattanews

বান্দরবানে ঝুঁকিতে সময় পার করছে রেড জোনে থাকা ডায়াবেটিস রোগীরা

চরম এক দুর্ভোগের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে বান্দরবানে রেড জোনে থাকা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা। আগে তাঁরা বাইরে নিয়মিতভাবে আধা ঘণ্টা অথবা এক ঘণ্টা চলাফেরা ও শারীরিক বিভিন্ন ব্যায়াম করলেও বর্তমানে তারা এক বন্দী জীবন কাটাচ্ছে রেড জোন এর কারণে।

তাদের মতে করোনাভাইরাসের শিকার যে কেউ হতে পারেন; তবে ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা লোকদের এ ঝুঁকি অনেক গুণ বেশি। হার্ট ফেইলিওর, কিডনি ফেইলিওর, হাঁপানি ইত্যাদিতে যারা ভুগছেন তারাও অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে চলছেন।

নিয়মিতভাবে শারীরিক হাঁটাচলা না করার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, রোগ হলে তার সঙ্গে লড়াই করার সক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে একই সঙ্গে বসবাস করা অন্যান্য মানুষের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীরা বেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি তারা করোনাভাইরাসের সহজ শিকার।

ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণের মাত্রা (এইচবিএওয়ানসি) সঠিকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বোঝাতে সহায়তা করতে পারে। অর্থাৎ যার ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ যত খারাপ (এইচবিএওয়ানসি যত বেশি) তার রোগে ভোগার আশঙ্কা তত বেশি।

বাংলাদেশের প্রায় ৮০% ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের গল্গুকোজ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি (তাদের সবাই ভাইরাস সংক্রমণের বাড়তি ঝুঁকিতে)। আবার যারা অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ে বেঁচে আছেন, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও পর্যুদস্ত। সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছেন যে সব ডায়াবেটিস রোগীর কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, একই সঙ্গে হৃদযন্ত্রও যথেষ্ট রক্ত পরিসঞ্চালনে ব্যর্থ এবং রক্তের গল্গুকোজ বেশি।

বরাবরের মতোই সব ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের গল্গুকোজের মাত্রায় নিয়ে আসা অতীব জরুরি এবং যারা মুখে সেবনের ওষুধ নির্ভরতা কমিয়ে ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা করতে থাকবেন, তার বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের বিষয়ে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডাক্তার অংসুই প্রু মারমা জানান যারা ডায়াবেটিস রোগী আছে তাদের নিয়মিত হাঁটা চলাফেরা ও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। না হলে যে কোন মুহূর্তে তাদের হার্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে। যে কারণে তারা যেকোনো সময় হার্ট স্ট্রোক করতে পারে।

বিশেষ করে যারা রেড জোনের কারণে বাইরে যেতে পারছে না তারা ঘরের মধ্যে হলেও কিছুক্ষণ ব্যায়াম করা প্রয়োজন যাতে শরীর থেকে ঘাম বের হয়। তাই নিজেদের কে সুস্থ রাখার জন্য তাদের নিয়ম মেনে সবকিছু করতে হবে তাহলে তারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ জীবন গঠন করতে পারবে।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বললে তারা জানান আগে আমরা নিয়মিতভাবে বাইরে যেতাম হাঁটার জন্য কিন্তু এখন আমরা তা পারছিনা লকডাউন এর কারণে যার কারণে আমাদের মতো ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা ঝুঁকির মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে।

Exit mobile version