বিজিবি-মাদক কারবারি গুলিবিনিময়: লক্ষাধিক ইয়াবা উদ্ধার
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু-আমতলী বিজিবি-মাদক কারবারি গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১ মার্চ) রাতে সীমান্তের জলিলের গোদা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এতে তৎক্ষণাত কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে ।
কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ গণমাধ্যমে ইয়াবা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান, ১ মার্চ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর অধীনস্থ রেজু-আমতলী বিওপি’র সদস্যগণ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এ সংবাদের ভিত্তিতে রেজু-আমতলী বিওপির অভিযানকারী টহল দলটি চোরাকারবারীদের সীমান্তের এ এলাকায় চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। তাৎক্ষণিক বিজিবি টহলদল তাদের জান-মাল, অস্ত্র-গোলাবারুদ এবং সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে ফায়ার করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো ব্যাগ ফেলে দ্রুত পাহাড়ি গহীন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহল দল ওই স্থান থেকে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশী করে এক লক্ষ বিশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে, যার আনুমানিক মূল্য তিন কোটি ষাট লক্ষ টাকা। ফায়ারে চোরাকারবারীরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি না সে বিষয়ে জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের শুরু থেকে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি টহলদল ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৪ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ ৬৮ জন আসামীকে আটক করেছে।
অপরদিকে অসমর্থিত একাধিক সূত্র দাবি করে, এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ পালিয়ে যাওয়া এক ইয়াবা ব্যবসায়ী মারা গেছে।