মানিকছড়ি ছাত্রলীগের পুনর্মিলনীতে বিশাল ছাত্র সমাবেশ

fec-image

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মানিকছড়ি উপজেলার সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বিশাল ছাত্র সমাবেশ। এতে ১৯৮০-২০২১ সালের উপজেলার সকল ছাত্রনেতার পদভারে সভাস্থল পরিণত হয় মিলনমেলায়। আর সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।

বেলা ২টার পর উপজেলার চার ইউনিয়নের ছত্রিশ ওয়ার্ড থেকে ছাত্রলীগ এবং ইউনিয়ন থেকে সাবেক ছাত্রলীগ, বর্তমান আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা দলে দলে ব্যানার, ফেস্টুনসহ নানা শ্লোগানে সমাবেশস্থলে আসেন কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

বেলা সাড়ে ৩টার আগেই সমাবেশস্থল ছাত্র সমাবেশে টুইটুম্বুর। বেলা সাড়ে ৩টার পর সমাবেশের প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী অপু জেলা ও উপজেলার সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন। অতিথিরা সমাবেশস্থলে এসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে অতিথিরা মঞ্চে আসন গ্রহণ করলে কলেজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের তরুণ কর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছায় অতিথিদের অভিবাদন জানান।

এরপর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক চহ্লাপ্রু মারমা নিলয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরা। পরে যুবলীগ সভাপতি মোঃ সামায়উন ফরাজী সামু।

১৯৮৮ সালের উপজেলা ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি বিকাশ নন্দি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, ১৯৯০ সালের রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য মনোনীত জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মাঈন উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মানিকছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম।

এছাড়া বিশাল ছাত্র সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ.রাজ্জাক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও বাটনাতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মোহন, যোগ্যাছোলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন, তিনটহরী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম বাবুল, ভাইস চেয়ারম্যান ডলি চৌধুরাণী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, সাবেক যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহেদুল আলম, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ আবু জাফর।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে এদেশে ছাত্রলীগের জন্ম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জন্মলগ্ন থেকে অদ্যাবদি দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে এদেশে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এদেশে আওয়ামী লীগের প্রধান শক্তি ও সহচর হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে চিরতরে ধ্বংস করতে স্বাধীনতার পর থেকে একটি মহল এদেশে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখছে। ২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকারের আমলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে কঠিন সময় পার করে ঘুরে দাঁড়াতে হয়েছে। যার কারণে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক যুগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

পরে সমাবেশের সভাপতি মোঃ জামাল হোসেন সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সমাবেশ শেষে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃব্ন্দ। এর পর বিভিন্ন অনাথ আশ্রম, ইসকন মন্দির, মাদরাসা শিক্ষার্থীর হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন অতিথিরা।

এদিকে রাতে সমাবেশস্থল আমতলা ভূঁইয়া মার্কেটে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন