রুমায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সম্প্রীতি শোভাযাত্রা


বর্ণাঢ্য আয়োজন ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বান্দরবানের রুমায় পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানিয়ে সম্প্রীতি শোভাযাত্রা ও ১১টি যাতে গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় (১৪ এপ্রিল ২০২৫ ) উপজেলা পরিষদের আয়োজনে এ সম্প্রীতি শুভযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১টি জাতিগোষ্ঠী বাঙ্গালীসহ মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, চাক, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো , বম , পাংখোয়া, লুসাই, ও খুমী সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ শিশু কিশোর কিশোরীরা সম্প্রীতির এই শুভযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
বহু সম্প্রদায়ের নানা রঙ্গের সজ্জিত হয়ে শিল্পীরা দলে দলে, তালে-তালে, নেচে-গেয়ে আনন্দঘন পরিবেশে সম্প্রীতি শুভযাত্রাটি লোকে লোকারণ্য ও নৃত্যে এক উপভোগ্য শোভাযাত্রায় পরিণত হয়।
শোভাযাত্রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ব্রীজ হতে শুরু হয়ে রুমা বাজার সহ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে গিয়ে সমবেত হয়।
বিকাল চারটায় উপজেলা পরিষদ সম্মুখে ও উপজেলা ভিউ পয়েন্ট প্রাঙ্গণে ১১টি জাতিগোষ্ঠী শিল্পীদের পরিবেশনায় আয়োজন করা হয়- এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মারমা, ত্রিপুরা ও বমসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিল্পীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গান ও নৃত্য ও পরিবেশন করেছে।
রাত ৮টায় রিদম স্কোয়ার ও নষ্ট নীড় পরিবেশনায় আয়োজন করা হয়-বর্ষবরন কনসার্ট। এতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত অতিথি শিল্পীরাও গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
পরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হয়- রাতের ড্র ও আতশবাজি ও আলোকচ্ছটা।
এদিকে সকালে রুমা সদরে ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ আয়োজনে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, যুব যুবতী ও শিশু-কিশোরীদের অংশগ্রহণে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
অন্যদিকে রুমা উপজেলার চিম্বুক লাইনে পুরো বাংলাপাড়ায় ম্রো সম্প্রদায়ের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এক মনোজ্ঞ নৃত্য অনুষ্ঠান।