হাসিনার ফাঁসির রায় পরবর্তী ভারতীয় কূটনীতিতে নয়া কৌশল


ভারত বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব গড়ার কূটনীতিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর এমন নীতি গ্রহণের কথাই বলছে। তবে ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কি না এই বিষয়ে এখনো কোন স্পষ্ট বার্তা দেয়নি ভারত সরকার। শেখ হাসিনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে না ভারত, এমনটা জানিয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাকে ভারতের এই সাবেক্ কূটনীতিক পিনাক রঞ্জন বলেছেন, ‘‘নয়াদিল্লি কীভাবে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে?’’
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বেশ কয়েকজন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে বলেছেন, তারা এমন পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছেন না যেখানে নয়াদিল্লি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে উল্লাস প্রকাশ করছে বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা। কিন্তু ভারতে নির্বাসিত থাকায় তিনি ফাঁসির মঞ্চ থেকে এখন অনেক দূরে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ বারবার হস্তান্তর করার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও ভারতে হাসিনার উপস্থিতি গত ১৫ মাস ধরে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন, হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায়, ফলে সেই উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ভারত হাসিনা-পরবর্তী ঢাকার সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়তে আগ্রহী। বেশ কয়েকজন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, তারা এমন পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছেন না যেখানে নয়াদিল্লি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।
উল্লেখ্য ২০২৪ সালের জুলাই মাসে একটি ছাত্র বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের পর হাসিনার পদত্যাগের দাবি দেশব্যাপী গণদাবিতে পরিণত হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের বংশধরদের জন্য সরকারি চাকরির কোটা বাতিলের দাবিতে এই ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ছাত্র আন্দোলনকারীরা ঢাকায় সশস্ত্র পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়।

















