আমরাও মাঠে জবাব দেব : বিবিসিকে সালাহউদ্দিন আহমদ


চার মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ৬৭টি বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তারপরেও জুলাই সনদ কিংবা সংবিধান সংস্কারের মতো মৌলিক বিষয়গুলোর বাস্তাবায়ন প্রশ্নে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। বিপরীতমূখী অবস্থানে দাঁড়িয়েছে বড় দলগুলোই। দাবি পূরণে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জামায়াত সহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল। তারা নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ও বাস্তবায়ন চাইছে। অন্যদিকে তা নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন চাইছে বিএনপি।
এ নিয়ে গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিবিসি বাংলা একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি, জামায়াত ইসলামীর একজন নেতা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
বিবিসিকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, পার্লামেন্ট ইলেকশনের মধ্য দিয়ে যদি জনগণ সেটা অ্যাকসেপ্ট করে, তারা যদি সংখ্যাধিক্য পায়, তখন তারা তাদের পরিকল্পনা বা মেনুফেস্টো বাস্তবায়ন করতে পারে। তাদেরকে সেই রাস্তায় আসতে হবে। এটায় তো তারা স্বাধীন। এখন যদি মাঠে বক্তৃতা দিয়ে আমাদের উপরে বা কারো উপরে কারো রাজনৈতিক আদর্শ স্থাপন করে দিতে চায়, ইম্পোজ করতে চায়, তাহলে আমরাও সেটার মাঠে জবাব দেব। মাঠে আমাদের সেটার কাউন্টার বক্তব্য দিতে হবে। এটাই ডেমোক্রেটিক কালচার এবং এই ডেমোক্রেটিক চর্চা জারি থাকতে হবে। এজন্য-ই তো আমরা সংগ্রাম করেছি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বিবিসিকে এ ব্যাপারে বলেন, কমিশন কিছু চাপিয়ে দেবে না। কারণ কমিশনের ম্যান্ডেট নেই। আমরা সুপারিশ করে দেব সরকারকে সেটা বাস্তবায়নের জন্য। আমি যেটা মনে করি ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতেই হবে। তার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু বিষয়ে ফয়সালা করতে হবে এবং সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে কথা বলছে, দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি সেটা অবৈধ বলে মনে করছে। আবার সেই যুক্তিতে অন্তবর্তী সরকারই অবৈধ হয়ে যায় বলে বলছেন জামায়াতের নেতারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে যতটুকু সংস্কার করা সম্ভব, তা শেষ করে নির্বাচনের পরে নির্বাচিত দলকে বাকি কাজ শেষ করতে হবে- বলছেন বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে জাতীয় সংস্কার কমিশনের সহসভাপতির মতে মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার না করলে আগের কাঠামো থেকে যাওয়ার শঙ্কা আছে।