চকরিয়ায় ডাকাত দলের অত্যাচারে অতিষ্ট চিংড়ি চাষীরা
চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিরিংগা চিংড়ী জোন এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত ডাকাত দলের অত্যচার নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ঘের মালিক ও এলাকাবাসী। এতে সাধারণ জনগণ তাদের ভয়ে মুখ ফোটে কিছু বলতেও পারছে না। সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন এ সব চিহ্নত ডাকাত ধরতে কয়েক দফা অভিযানও চালায়। তারপরও লোকচক্ষোর আড়ালে একদল দুর্বৃত্ত ডাকাত ওই চিংড়ীজোনে নানা ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে বলে কয়েকজন ঘের মালিক ও ভোক্তভোগী জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও চিংড়ীঘের চাষিরা জানান, উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা ও চরনদ্বীপ এলাকায় ত্রাস বাহিনী নামে খ্যাত একদল দুর্বৃত্ত ডাকাত সাধারণ মানুষ ও চিংড়ীঘের চাষিদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা দাবী করে আসছে। তাছাড়া প্রতি জোতে ঘেরের মাছ ডাকাতি ও বাড়ির গবাদী পশু জোর করে নিয়ে যাচ্ছে ওই সব ডাকাতদল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, সওদাগর ঘোনা এলাকার মৃত জহির আহমদের পুত্র নুরুল আমিন প্রকাশ আমিন ডাকাতের নেতৃত্বে গডে উঠেছে ত্রাস বাহিনী নামে একটি ডাকাত দল। তার হুকুমে বদরখালী, রামপুর, মহেশখালী চ্যানেল, ডুলাহাজারা, খুটাখালী ও উপকুলীয় এলাকায় উল্লেখযোগ্য চিংড়ী জোনে যে সব ডাকাতি হয় তা আমিনের নেতৃত্বে হয় বলে জানান। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ তাকে ধরার জন্য হন্য হয়ে উঠেছে। তার সহযোগী হিসেবে যে সব ডাকাত রয়েছে তারা হলেন, সওদাগর ঘোনা এলাকার মো. লেদুর পুত্র নুরুল আমিন প্রকাশ কালাইয়্যা, সোলেমানের পুত্র পেটু,গোলালুর রহমানের পুত্র নবীর হোসেন,এ সব চিহ্নিত ডাকাতদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকার কোন নিরীহ মানুষ যদি তাদের বসতঘর নতুনকরে নির্মাণ করে তাহলে ওই সব দুর্বৃত্ত ডাকাতদলের প্রধান আমিনকে চাঁদা না দিয়ে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। এ ছাড়া কোন উপযুক্ত মেয়েকে ঠিকভাবে বিয়েও দিতে পারে না বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, এসব অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশ বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে। এদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।


















