চট্টগ্রামে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছেন মার্কিন সেনারা

fec-image

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে সাত দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ নামের যৌথ মহড়া চলমান রয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আকাশ, স্থল ও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার বিভিন্ন ধরনের মহড়া পরিচালনা করা।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর ) জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে সাত দিনব্যাপী যে যৌথ মহড়া চলছে, তার অংশ হিসেবেই মার্কিন সেনারা চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।

চট্টগ্রামের বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ নামের এই যৌথ মহড়ার উদ্বোধন করা হয় রোববার। ঘাঁটি জহুরুল হকের অধিনায়ক, এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ মহড়ার উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৯২ জন সদস্য ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন এ মহড়ায়।

মহড়ার মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মেডিভ্যাক (উদ্ধার অভিযান) সমন্বয়, বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও বৈমানিক কার্যক্রম, প্যারাসুট ও লিটার রিগিং, রোটারি-উইং হোইস্ট অপারেশন, সামুদ্রিক ও বন্যা মোকাবিলা কার্যক্রম, কমব্যাট রাবার রেইডিং ক্রাফট (সিআরআরসি),

জঙ্গল সারভাইভাল ও দুর্ঘটনাস্থল ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ প্রতিরোধ (এইচএডিআর)। এই মহড়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আইএসপিআরের কর্মকর্তারা।

আইএসপিআর বলছে, দুই দেশের বিমান বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা
বিনিময়, আন্তঃকার্যক্ষমতা জোরদার করা এবং সহযোগিতা শক্তিশালী করা এ মহড়ার উদ্দেশ্য।

পাশাপাশি মহড়ার মাধ্যমে বিমান বাহিনী, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে
স্থানীয় জনগণকে সেবা দেওয়া হবে, যা দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বন্ধন আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

মহড়া চলাকালে বিভিন্ন বাস্তবমুখী অনুশীলন এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতি আয়োজন করা হচ্ছে, যাতে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা বাস্তব পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সমন্বয় ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হন।

এর ফলে দুই দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং মানবিক সহায়তার কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন মঙ্গলবার ঘাঁটি জহুরুল হকে গিয়ে মহড়া পরিদর্শন করেন। পরে তিনি দুই দেশের বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সাত দিনের এই মহড়া বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

৭ দিনের এই বহুপাক্ষিক মহড়ায় প্রায় ৯২ জন মার্কিন সেনা, ৯০ জন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য, ২ জন শ্রীলঙ্কা বিমান বাহিনীর চিকিৎসা কর্মী, ওরেগন এয়ার ন্যাশনাল গার্ড এবং আঞ্চলিক অংশীদাররা চিকিৎসা প্রস্তুতি,

বিমান নিরাপত্তা, প্রকৌশল সহায়তা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একত্রিত হন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

 

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রাঙামাটি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন