চীনের সহায়তা হারানো এলাকা পুনর্দখল নিচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা


গত এক বছরে মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের গতিপথে বড় পরিবর্তন এসেছে। বিদ্রোহীদের দখল করা অঞ্চলগুলো একে একে পুনরুদ্ধার করছে দেশটির সামরিক জান্তা, আর এর পেছনে রয়েছে চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তা।
চীনের সমর্থন পেয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে কিয়াউকমে ও সিপাউ শহর পুনর্দখল করেছে। গত বছর তীব্র লড়াইয়ের পর তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) কিয়াউকমে শহরটি দখল করেছিল। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে–১৪ বা বার্মা রোডের ওপর অবস্থিত, যা চীনা সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যপথের মূল সংযোগ।
সাম্প্রতিক অভিযানে সেনাবাহিনী নতুন ধরনের ড্রোন, মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার এবং চীন ও রাশিয়া থেকে সরবরাহকৃত যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। এসব আধুনিক অস্ত্রশক্তির কারণে তারা দ্রুত শহরগুলো পুনর্দখল করতে সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে, পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এখনো ভেতরে বিভক্ত ও তুলনামূলকভাবে দুর্বল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভাব এবং নিজস্ব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণে তারা সেনাবাহিনীকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে পারছে না।
সামরিক জান্তা এই পুনর্দখল অভিযানে সফলতাকে ডিসেম্বরের নির্ধারিত নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছে। তবে দেশের গৃহযুদ্ধ এখনো অব্যাহত—প্রতিদিনই নিহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ, বাস্তুচ্যুত হচ্ছে লাখো বেসামরিক নাগরিক।
টিএনএলএ-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘কিয়াউকমে ও সিপাউতে প্রতিদিন তীব্র লড়াই চলছে। এবার সেনাবাহিনীর সংখ্যা, অস্ত্র ও বিমানশক্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি।’
















