জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনটা করলে সুষ্ঠু হবে : জামায়াত


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, পরিষ্কারভাবেই বলেছি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি। এটি দাবি করার কথা ছিল না।
তবে অনেকেই রাস্তায় মিছিলের উদাহরণ দিচ্ছেন, সবার জানা আছে রাস্তার মিছিলের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিদায় হয়েছে। সুতরাং জুলাই সনদের যদি বাস্তবায়ন করতে সরকার দেরি করে অথবা অন্য কিছু হয় তাহলে আবার জনগণ রাস্তায় নামবে এটা খুবই স্বাভাবিক। এ ব্যাপারে এর বাইরে যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যই হলো আন্দোলন-সংগ্রাম-লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই এগুলো বাস্তবায়িত হয়।’
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচনটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সাংবিধানিক বিষয়গুলো এখানে স্থান পাবে। যারা বলছেন সাংবিধানিক বিষয়গুলো এখানে স্থান পাবে না।
শুধু অমৌলিক বা যেগুলো জেনারেল আছে, কম গুরুত্বপূর্ণ আছে, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে হচ্ছে হবে। মৌলিকগুলো পার্লামেন্টে যাবে। আমরা সেখানে বলেছি যে পার্লামেন্টের কোনো এখতিয়ার নাই-কনস্টিটিউশনাল বেসিক স্ট্রাকচার এমেন্ডমেন্ট করে চেঞ্জ করতে পারে না পার্লামেন্ট। এটার জবাব কিন্তু উনারা (বিএনপি) দিতে পারেন নাই।’
কেয়ারটেকার সরকারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে সংগ্রাম করেছে বক্তৃতা দিয়েছে বিএনপি, বলেছে, ‘আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখেই শেখ হাসিনা কেয়ারটেকার বাতিল করেছেন’, তা আপনার আগের বক্তব্য-আজকে অভিমত-এটার সাথে তো একটা স্ববিরোধী-এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ঐক্যমত কমিশনের ভেতরে কিন্তু বহুবার আলোচনা হয়েছে আদালতকে আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে চাই।’
‘আজকের ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাবটা দিয়েছে সেই জায়গায় যদি আমরা একমত হয়ে যাই, তাহলে দেশ আগামীতে সুন্দর একটি নির্বাচন পাবে ফেব্রুয়ারিতে যথাসময় নির্বাচন হবে, ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা নতুন বাংলাদেশ, নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে দেশটাকে এগিয়ে নিতে পারব, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে’ বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদকে ডিক্লাইন করার কোনো সুযোগ এখানে আছে বলে আমি মনে করি না। যারা এই পথে হাঁটবেন আমার মনে হয় জনগণ তাদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। যে জুলাই সনদের স্পিরিট যারা ধারণ করে না, ইতোমধ্যেই কিন্তু ছাত্র সংগঠন নির্বাচনের ফলাফল এটা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা জনমতকে ও জনঅভিপ্রায়কে প্রাধান্য দিয়ে এগোতে চাই।’