টেকনাফে সন্ত্রাসী আতঙ্কে সপ্তাহ ধরে ঘরবন্দী শিক্ষার্থীসহ এক পরিবার

fec-image

টেকনাফে সন্ত্রাসীদের হামলার ও প্রাণ নাশের ভয়ে এক সপ্তাহ ধরে ঘরবন্দী রয়েছে শিক্ষার্থীসহ এক পরিবার। এই পরিবারের লোকজন বের হলেই ওঁৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলার জন্য তাড়া করছে। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, ওই এলাকার মৃত জাফর আলীর ছেলে ছফর মিয়ার পরিবার প্রায় সপ্তাহ ধরে ঘরবন্দী রয়েছেন। তারা বের হলেই ওঁৎপেতে থাকা একদল চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের তাড়া করে ঘরের প্রাচীরের মধ্যে ঢুকে দেয়া হয়। এ পরিবারের লোকজন কোনোভাবেই বের হতে পারছেননা। এমনকি হোয়াইক্যং হলি চাইল্ড কেজি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ আরিফও না। তারা এখন নিরপত্তাহীনতা ভুগছেন।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) চাউর হয়েছে। আব্দুল্লাহ আল সম্রাট নামের এক ছাত্র লিখেছেন ‘হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল আরমানের পরিবার, তার আপন চাচাদের কর্তৃক নির্যাতিত স্কুল কোচিংয়ে যেতে পারছেনা ছোট ভাইবোন। বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা কেউ। পুলিশের সহযোগিতায় তাদের আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় সর্ব স্তরের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।’ এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বলে জানা যায়।

অভিযোগ ও সন্ত্রাসী আতঙ্ক পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৫ দিন পূর্বে একই এলাকার মমতাজ মিয়া, কালা মিয়া, হাফেজ আহমদ, আব্দু শুক্কুর সহ একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছফর মিয়া পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলার জন্য হামলা চালায়। এতে আহত হন ছফর মিয়া ও ছেলে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র আরাফাত। তখন থেকে তারা ঘরবন্দী রয়েছেন। পরিবারের লোকজন বের হতে চাইলে দা কিরিচসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের হামলা চালাতে উদ্যত হয়। তারা প্রাণে বাঁচতে বাড়িতে ঢুকে পড়ে বলে জানান ছফর মিয়া।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেই সন্ত্রাসাীরা পালিয়ে যায়। মমতাজ মিয়া শুধু সন্ত্রাসী নন, তার বিরুদ্ধে মাদক ও মানবপাচারের একাধিক মামলা রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, তারা শুধু সন্ত্রাসী নয়, ইয়াবা ব্যবসায়ীও। গত কিছুদিন আগেও একটি ইয়াবার বিশাল চালান ছিনিয়ে নেয়।

তবে প্রতিপক্ষ হাফেজ আহমদ জানান, এসব আনিত অভিযোগ মিথ্যা। পাশাপাশি তাদের হামলায় কালা মিয়াসহ দুইজন আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নূরে আলম জানান, সম্পত্তি (জাল) নিয়ে তাদের মারামারি। দুই পক্ষই অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন