তিস্তা, সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনায় থাকবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

fec-image

তিস্তার পানিবণ্টন বা সীমান্ত হত্যার মতো ইস্যুগুলো ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ককে আটকে দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, তিস্তার পানি হোক কিংবা সীমান্ত হত্যা—এগুলোর পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গটিও আলোচনায় থাকবে। একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল নয়। স্বার্থগুলো সেভাবেই চলবে।

রোববার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: পরিবর্তনশীল বিশ্বে একটি প্রাসঙ্গিক ভূমিকা নির্ধারণ’ শীর্ষক সেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কতদিন লাগবে জানি না। আমরা চাই, তাদের (শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল) ফেরত দেওয়া হোক, যেন সাজা কার্যকর করা যায়। তবে এই ইস্যুর জন্য বাকি সব সম্পর্ক আটকে থাকবে—আমি এটি মনে করি না।

বিগত সরকারের ‘ভারত নীতি’ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, উষ্ণ সম্পর্ক ছিল দুই সরকারের মধ্যে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কতটা সন্তুষ্ট ছিল হলফ করে বলা কঠিন। আমার মনে হয়েছে, এই উষ্ণতা ছিল সরকার-টু-সরকার। জনগণের ভূমিকা সেখানে খুব কম ছিল।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিস্তার পানি বা সীমান্ত হত্যা—এ দুটো বিষয়ে ক্ষোভ ছিল সবার। ১৫ বছরের উষ্ণ সম্পর্কেও কোনো সমাধান হয়নি। অর্থাৎ বাহ্যিক উষ্ণতা কোনো নিশ্চয়তা না; গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের স্বার্থ উদ্ধার হচ্ছে কি না।

সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পৃথিবীর একমাত্র সীমান্ত, যেখানে যুদ্ধাবস্থা নেই। তারপরও গুলি করে মানুষ মারা হয়। এ রকম আর দ্বিতীয় কোনো উদাহরণ পৃথিবীতে নেই। এর কোনো তাৎক্ষণিক সমাধান দেখছি না। আমরা নিন্দা করি, প্রতিবাদ করি—সেটা চালিয়েই যাচ্ছি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ, ভারত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন