পেকুয়ায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত ৬

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদের জমি দখল কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ৪ আগষ্ট দুপুর সাড়ে ১২ টায় সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী মাতবর পাড়া হাশেম ফকির মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদূর্শীসূত্রে জানাযায় ওই এলাকার নেছার আহমদের স্ত্রী দিলোয়ারা বেগমের পত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত জমি চলতি বর্ষা মৌসুমের জন্য ধানের চারা রোপন করে। উক্ত জমি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে দিলোয়ারা বেগম গং এর দখলীয়। সম্প্রতি একই এলাকার মৃত আহামদুর রহমানের পুত্র বেলাল উদ্দিন গং এর লোকজনের কুমানষে বশিভৃত হয়ে উক্ত জমি জবরদখল করার জন্য ঘটনার দিন বেলালউদ্দিন, জহিরুল ইসলাম, মোহাব্বত আলীর পুত্র খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দা কিরিচ লোহার রড় নিয়ে দিলোয়ারা বেগমের প্রত্তিকসূত্রে প্রাপ্ত জমির রোপিত ধানের চারা নষ্ট করে।

এসময় দিলোয়ার বেগমের পুত্র নুরুল হোসেন গিয়ে বেলাল গং এর লোকজন কে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বেলালউদ্দিন গং এর লোকজন নুরুল হোসেন কে কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এসময় নুরুল হোসেন (২৮) কে উদ্ধার করতে মা দিলোয়ারা বেগম (৫৫), আহমদ হোসেনের পুত্র তৌহিদুল ইসলাম (২৫), সাবিনা আক্তার (২৫), কমরুনেছা (২৮), মিনা আক্তার (২৪) এগিয়ে গেলে তাদের কে ও সন্ত্রাসীরা কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা আহত সাবিনা আক্তারের কাছ থেকে এক ভরি ওজনের স্বর্ণের একটি চেইন, এক ভরি ওজনের হাতের এক জোড়া বালা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে আহতদের কে উদ্ধার করে পেকুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে নেছার আহম্মদ অভিযোগ করেন বেলাল উদ্দিনের পিতা জীবিত থাকা কালে ওনার প্রাপ্ত জমি ১৯৬১ সনে ৯৭৭ রেজিঃ কবলা মূলে জনৈক মৃত আবদুল করিম গং কে সম্পন্ন সত্ত্ব বিক্রয় করে দেয়। তার পরও বেলাল উদ্দিন উক্ত জমির উপর লোভলালশাই বশিভূত হয়ে উক্ত জমিতে রোপিত ধানের চারা নষ্ট করে। এ ব্যাপারে নেছার আহম্মদ বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন