ফাইতংয়ে খুনের ঘটনায় ৫ আসামির স্বীকারোক্তি

fec-image

লামার ফাইতংয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালককে খুনের ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৩ তরুনসহ ৫জন। এর মধ্যে ওই খুনে সরাসরি অংশ নেয় তিনজন আর অপর দু’জন খুন করে ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেলের ক্রেতা ও প্রত্যক্ষদর্শী।

শনিবার (২৯ মে) লামার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এমনটাই জানিয়েছে গ্রেপ্তার ৫ আসামি। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

এর আগে র‌্যাব-১৫ খুনিদের সনাক্ত করে পৃথক অভিযানে ৫ আসামিকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। র‌্যাব-১৫ এর মিডিয়া এন্ড অপারেশনস্ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী এই প্রতিবেদককে খবরটি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তাররা হলো- চকরিয়া হারবাং নোনাছড়ি এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল্লাহ, একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. কায়সার (১৮) ও ইলয়াসের ছেলে আব্দুর রহিম। অপর দু’জনের মধ্যে একজন সেই মোটরসাইকেল ক্রেতা মো. আলমগীর এবং অন্যজন এই ঘটনার সবকিছু প্রত্যক্ষদর্শী।

গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতকে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, চকরিয়ার হারবাংয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে তিনবন্ধু আব্দুল্লাহ, কায়সার ও আব্দুর রহিম এই খুনের পরিকল্পনা করে। পরে একটি স্টিলের চাকু সংগ্রহ করার পর পূর্বপরিচিত ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মমিনুল ইসলামকে লামার ফাইতংয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে ভাড়ায় ঠিক করে। রাত সাড়ে নয়টায় কথিত ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতেই ফাইতংয়ের অলিকাটা নামক স্থানে মোটরসাইকেল চালক মমিনুলকে গলাকেটে হত্যা করে। পরে সেই মোটরসাইকেলটি নিয়ে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয় তারা।

উল্লেখ্য, গত ২১ মে লামার ফাইতংয়ের অলিকাটা নামক স্থানের এক লেবু বাগানের পাশ থেকে চকরিয়ার উপজেলার বড়ইতলী এলাকার বাসিন্দা এবং পেশাদার মোটরসাইকেল চালক মমিনুল ইসলামের (২১) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ঐদিনই লামা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন