parbattanews

বান্দরবানে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধানের গুণাগুণ বিষয়ক উঠান বৈঠক

Paddi pic-26.7.2016
স্টাফ রিপোর্টার :
বান্দরবানের সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের নিয়ে জিংক ধানের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা বিষয়ক উঠান বৈঠক করা হয়েছে। মঙ্গলবার কালাঘাটার বড়ইতলী পাড়ায় হারভেষ্টপ্লাস-বাংলাদেশের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রকাশ গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধানের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা বিষয়ক আলোচনা ও উঠান বৈঠক করা হয়।

বৈঠকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত দাশ, পিজিইউকের সমন্বয়কারী রিব্বানুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আলোচকবৃন্দ বলেন, জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৬২, ৬৪, ৭২ ও ৭৪ উচ্চ ফলনশীল। এ জাতের ধানে প্রতি কেজিতে প্রায় ২৪ মিলিগ্রাম জিংক ও ৯% প্রোটিন থাকে। ফলন হেক্টর প্রতি ৬.৫-৭.০ টন উৎপন্ন হয়। এ জাতের ধানের চাল খেলে মানুষের শরীরের আয়রন ও প্রোটিনের চাহিদা অনেকাংশে মিটবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

জিংক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশসহ নানাবিধ শারীর বৃদ্ধির সহায়ক ও বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ১-৫ বছরের শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। শিশুর শরীর গঠনে সহায়তা করে এবং গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে।

আলোচকরা বলেন, চারা রোপনের সময় শুতালি দিয়ে লাইন সোজা করে প্রতি গুছিতে ২/৩টি করে চারা ২০ থেকে  ১৫ সেন্টি মিটার (ছয় ইঞ্চি) দূরত্বে রোপন করতে হবে।

সূত্র জানা যায়, বাংলাদেশেই প্রথম জিংক সমৃদ্ধ ধান আবিষ্কার করা হয়েছে। হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মো. খায়রুল বাশার এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জিংক সমৃদ্ধ ধান আবিষ্কার করেন।

Exit mobile version