মাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ১২০ কেজি গাঁজা গাছ উদ্ধার ও ধ্বংস

fec-image

পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার কালা পাহাড় পেরিয়ে দুর্গম দুইল্লাতলী গ্রামে গড়ে ওঠা দুইশ বিঘা গাঁজা ক্ষেত ধ্বংসের সপ্তাহ না পেরুতেই মাটিরাঙ্গার দুর্গম হিলছড়ি এলাকায় তিন বিঘা গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি দল। মাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক অভিযান চালিয়ে ১২০ কেজি গাঁজা গাছ উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা তথ্য ও স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (৫ জানুয়ারি) মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের তৈকাতাং সেনা ক্যাম্পের এক অভিযানে এ গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে এসব গাঁজা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এর আগে শনিবার (৪ জানুয়ারি) মাটিরাঙ্গার কাপপাড়া নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো এক বিঘা জমির গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করে নিরাপত্তা বাহিনী। এদিকে নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছে গাঁজা চাষী। ধারণা করা হচ্ছে ওই এলাকার আশেপাশে আরো গাঁজা চাষ হয়ে থাকতে পারে।

জানা যায়, গহীন অরণ্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম এইরকম জায়গায় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপদ বসবাস এলাকা হিসেবে বেছে নেয়। আর এই ধরণের মাদক ব্যবসা থেকে আয় করা অর্থ ব্যয় হয় আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে।

এছাড়া সাধারণ মানুষ এবং বিশিষ্ট নাগরিক সমাজের ধারণা, বিতর্কিত ভূমি কমিশন আইনের ফলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো পাহাড়ে ভূমির অবাধ ব্যবহার করে মাদকের স্বর্গরাজ্য তৈরির সুযোগ পাচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ গোষ্ঠির ছত্রছায়ায় খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ে চাষ হচ্ছে নিষিদ্ধ গাঁজা। মূলত লোকচুক্ষুর অন্তরাল করতেই গাঁজা চাষের জন্য দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দুর্গম পাহাড়ে লোকচুক্ষুর অন্তরালে রীতিমত গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছে। আর সাধারণ পাহাড়িদের গাঁজা চাষে বাধ্য করা হচ্ছে।

মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এসব মাদক ব্যবসায়ী ও দুষ্কৃতিকারীদের আটক করার অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত বছরের ২০ ডিসেম্বর এবং গত ২ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি জেলায় মহালছড়ি সেনা জোনের নেতৃত্বে বেশ কিছু গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন